ইরাক প্রবাসীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আর হতাশার জীবন, বিডি সংবাদ একাত্তর  


rafiq প্রকাশের সময় : জুন ১৪, ২০২০, ০১:৩৭ / ৩৮২
ইরাক প্রবাসীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আর হতাশার জীবন, বিডি সংবাদ একাত্তর  

ইরাক প্রবাসীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আর হতাশার জীবন, বিডি সংবাদ একাত্তর 

নোমান হোসাইন, ঃইরাক হতে। আমার সামান্য প্রচেষ্টায় প্রবাসীদের কষ্টের কথা তুলে ধরলেন। বর্তমান মহামারী করুনার কারনে লকডাউন। লক ডাউনের কারণে কোম্পানীর কারখানা বন্ধ, কমী’ ছাটাই , রুমে বন্দি জীবন, না বেতন না দিচ্ছে খানার টাকা। নিজে চলার পয়সাও নেই। সবসময় করোনা আতঙ্ক,তার সাথে সব সময় ভিসা ,আকামা ,না থাকায় পুলিশের ভয় ।তার মাঝে নিজে মারা গেলে লাশ দেশে যাবে কিনা তা নিয়ে সব সময় সন্দেহ আছে । অন্যদিকে কোন প্রিয়জনের মৃত্যুতে দেশে যাবার সুযোগটাও নেই কারণ নিরাপত্তার জন্য ফ্লাইট বন্ধ। প্রবাসীরা কদিন আগে নিজ দেশের বোঝা হলেও এখন নিজেই নিজের কাছে বোঝা, নিজেই চলতে হিমশিম খাই। প্রবাসীর ক্লান্তিমাখা ও অসুস্থ শরীরটা এখানে থাকলেও মনটা ঠিকই পড়ে থাকে মাতৃভূমিতে পরিবারের কাছে। প্রতিনিয়তো মনটা কাঁদে নিজ প্রিয়জনের জন্য। নিজ মাতৃভূমির জন্য।

সকল ইরাক প্রবাসীর বৈধতা কোন কাগজ নেই, ইরাকে দুই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার অধিক লোক প্রবাসে আছে। যাদের ভিতরে আমার মনে হয় না, ১% লোক বৈধ আছে। বিগত চার মাস থেকে কোরোনার মহামারী কারণে আমাদের ইরাক প্রবাসী ৬০% উপরে লোক কর্মহারা। যেখানে থাকার কোন ব্যবস্থা নাই। অন্যান্য মিডিলিস্ট এ ব্যক্তিগত রুম থাকে বা রুম ভাড়া করে থাকতে পারে। ইরাকে সে ব্যবস্থা নাই। সেজন্য ইরাক প্রবাসীরা যেমন কর্মহারা তেমন থাকার কোন ব্যবস্থা নাই। বাংলাদেশ সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, এবং আমাদের এম্বাসি সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি , আমাদের প্রবাসী যারা এই মুহূর্তে কর্মহারা হওয়ায় থাকার ব্যবস্থা নেই। অন্তত পক্ষে এমবাসির মাধ্যমে আমাদের থাকার ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য আমরা এম্বাসি কে বিনীত অনুরোধ করছি।

এবং আরেকটা কথা না বললেই নয়, ইরাক থেকে দেশে একটা লাশ প্রেরণ করতে হলে 5000 ডলার লাগে। এটা বাংলাদেশী ইরাক প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের দাবি। যেন অদূর ভবিষ্যৎ ইরাক থেকে প্রতিটি লাশ বাংলাদেশের সরকার নিজ খরচে দেশে নিয়ে যায়।

এই মুহূর্তে দুইটা লাশ হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। এ লাশ গুলো যেন সরকার নিজ খরচে দেশে নিয়ে যান। এই প্রত্যাশার আশাবাদী।

এই মুহূর্তে দেশে যাওয়ার জন্য অনেকেই প্রস্তুত কিন্তু ফ্লাইট বন্ধ এবং আমাদের এম্বাসি থেকে একটা ফরম দিয়েছেন। যারা ফরম পূরণ করবে, তারা কিছুদিনের ভিতর দেশে যেতে পারবেন, তবে অনিশ্চিত খরচ বহন কে করবে। সরকার দিবে নাকি আমরা নিজেরা দিতে হবে। এই মুহূর্তে যারা যাচ্ছেন দেশ সবাই কর্মহারা লোক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমাদের আবারও আকুল আবেদন সরকার এবং এমবাসির মাধ্যমে বিবেচনা করে যে সকল প্রবাসীরা কর্মহারা দেশে যেতে চায় সরকারের সুদৃষ্টি বিবেচনায় স্বল্প খরচে যেহেতু কর্মহারা মানুষগুলো দেশে ফিরে যেতে পারে স্বল্প খরচে সেদিকে সু- দৃষ্টি রাখবেন। এই প্রত্যাশায় অঙ্গীকার করে বলছি আশা করি আমার ওপর বিষয়গুলো বিবেচনা করে দেখার জন্য অনুরোধ রইল।
বাংলাদেশী ইরাক প্রবাসী কল্যাণ সংগঠন
নোমান হোসাইন
যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক

ব্রেকিং নিউজ :
Shares