সৌদি আরব জেদ্দায় নানা আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।


rafiq প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ০৪:১১ /
সৌদি আরব জেদ্দায় নানা আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।

সৌদি আরব জেদ্দায় নানা আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।
রফিক চৌধুরী সৌদি আরব প্রতিনিধি
ব্যাপক উৎসাহ আর নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়েছেন সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পোশাকে বাঙালিয়ানা এবং পান্তা-ইলিশের আয়োজনে বিদেশের মাটিতে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে বাংলার আবহমান চিরচারিত বৈশাখী উৎসব।
বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশিয় কৃষ্টি সংস্কৃতি বিদেশিদের ছড়িয়ে দিচ্ছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। পাশাপাশি প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন বাংলার ঐতিহ্যের বার্তা।
মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে বাংলাবর্ষ ১৪৩১ কে স্বাগত জানালেন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পহেলা বৈশাখ উদযাপনে তাদের পরনে পোশাক আর সাজসজ্জায় ফুটে উঠে বাঙালিয়ানা।

বিদেশের মাটিতে বর্ষবরণের আয়োজনে প্রবাসীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বাঁশি আর ঢোলের তালে গানে-নাচে মেতেছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণও মুগ্ধ করে সবাইকে। ছিলো যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা। এরমধ্য দিয়ে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের সঙ্গে বাংলার আবহমান সংস্কৃতি চর্চার পরিচয় ঘটে।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ইংলিশ সেকশন ও বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল জেদ্দা যৌত ভাবে আয়োজন করে উক্ত বৈশাখী উৎসব। উক্ত অনুশ্ঠান প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মান্যবর কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক তিনি মঙ্গল শোভাযাত্রা উদ্ভোদন করেন এবং বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। আগে থেকে সৌদিতে বৈশাখী মেলা হলেও এই প্রথমবারের মত দুইদিন ব্যাপী মেলার আয়োজন করে, তিনি আরও
বলেন আমরা সকলের সহযোগিতায় এমন আয়োজনের পরিসর আরও বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবো। উক্ত অনুশ্ঠান গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মিনিস্ট্রি অব শ্রম কাজী এমদাদুল হক, এন এস আই কনসুলার জাহিদুল ইসলাম, হজ্জ কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম, ও কাউন্সারী আজিজুর রহমান, সাংস্কৃতিক পর্বে সার্বিক পরিকল্পনায় ছিলেন সারতাজুল ইসলাম দ্বীপু, কন্ঠ শিল্পী মৌ এতে গান পরিবেশন করেন এছাড়াও স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন অমল দে,রাউয়াজ, তোহা,এনায়েত ও হিরা সহ অনেকে এছাড়াও গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন দুই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা।
মান্যবর কনসুল জেনারেল বলেন এই নববর্ষ বিদেশের মাটিতে দেশের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। বিদেেশের মাটিতে পালন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। দেশের এতো দূরে থেকেও বাংলার এ সংস্কৃতিতে তুলে ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত। তিনি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ইংলিশ ও বাংলা মিডিয়াম সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এই উপলক্ষে অনুশ্ঠান প্রাঙ্গনে মেলার সপ গুলোতে ছিল পান্তা ইলিশ, নানান রকম পিঠা, ছটপটি, জালমুড়ি, আমের আচার, ও দেশীয় শাড়ী লুঙ্গি পাঞ্জাবি বাচ্চাদের খেলনা সহ দেশীয় পন্য, ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাণিজ্যিক চিন্তা নয় বরং দেশের বাইরে নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতেই এমন উদ্যোগ। মারোয়া সরকারের সত্তধীকারি হানিছ সরকার উজ্জ্বল বলেন
‘পান্তা-ইলিশের আয়োজনটা ব্যবসার জন্য নয়, আমাদের ঐতিহ্যের জন্য করেছি। খুবই সুলভ মূল্যে আমরা এর ব্যবস্থা করেছি।’ ওখানে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল স্টল বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ইংলিশ ও বাংলা সেকশন শরিয়তপুর, ও গোপালগঞ্জ স্টল ছিল বেচাকেনায় ভরপুর
প্রবাসে থেকেও নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলার এই প্রাণের উৎসবের জানান দিতে পেরে খুশি বাবা-মায়েরা ও

তারা বলেন, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা নিজের দেশকে জানাতে।সৌদি আরবে থেকে ও বাংলাদেশকে খুব কাছে ফিল করছি। আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।

উৎসবে আসা প্রবাসীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মান্যবর কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, প্রবাসী সকলের নববর্ষের মতো করে প্রতিটি দিন কাটুক।’
বর্ষবরণের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশী বিশিষ্ট রাজনীতি বীদ সাংবাদিক সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রবাসীদের প্রত্যাশা, বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস হবে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য।।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares