শূরা বৈঠকের সর্বসম্মতিক্রমে-জামেয়া জিরি ইসলামিয়ার পরবর্তী মুহতামিম হাফেজ মাওলানা খোবাইব সাহেব।


rafiq প্রকাশের সময় : জুন ১, ২০২০, ১৮:৩৩ / ৩৩৩
শূরা বৈঠকের সর্বসম্মতিক্রমে-জামেয়া জিরি ইসলামিয়ার পরবর্তী মুহতামিম হাফেজ মাওলানা খোবাইব সাহেব।

রফিক চৌধুরী বিডি সংবাদ একাত্তর =====  শূরা বৈঠকের সর্বসম্মতিক্রমে-জামেয়া জিরি ইসলামিয়ার পরবর্তী মুহতামিম হাফেজ মাওলানা খোবাইব সাহেব।

দেশের  শীর্ষ স্থানীয় এই  আলেমে দ্বীন, আল্লামা শাহ মুহাম্মদ তৈয়্যব রহঃ তিনি ছিলেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আল জামিয়াতুল  আরবিয়াতুল ইসলামিয়া  জিরির সম্মানিত মুহতামিম, প্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় ওয়ায়েজ, দেশ বরেণ্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব, আল্লামা শাহ মুহাম্মদ তৈয়্যব রহ.ঈদেরআগের দিন রাত ১ টার সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।তিনি কিছু  দিন যাবৎ  অসুস্থ বোধ করছিলেন কিন্তু ঈদের আগের দিন রাতে অবনতি হলে  এহেতেকাপ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলে সেখানে ভর্তি করার পর তিনি নামাজ  রাত অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহী রাওজিউন
তার মৃত্যুতে পুরো চট্টগ্রামসহ সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তিনি অসুস্থ থাকার পরেও  ইতিকাফে ছিলেন। কদিন পূর্বে থেকে তিনি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থও ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি মেডিকেলে প্রবেশ করতেই তড়িঘড়ি করে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে যান। পরবর্তীতে সিজদারত অবস্থায় তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি একাধারে দেশের প্রখ্যাত ও শীর্ষ স্থানীয় একজন ইসলামী চিন্তাবিদ, ঈমানী রাহবার ও পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আল্লামা মুহাম্মদ তৈয়ব সাহেব রহ. বহু গুণে গুণান্বিত একজন বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর অসাধারণ যুক্তিনির্ভর, গাম্ভীর্যপূর্ণ উচ্চারণে যে কেউ অনুপ্রাণিত হতো। তাঁর আন্তরিকতাপূর্ণ দু’আয় চোখ ভেজাতো যে কারো। তাঁর দরদী হেদায়াতি আলোচনায় পথ খুঁজে পেতো অসংখ্য পথহারা বনি আদম। তাঁর হাস্যোজ্জ্বল চাহনি যে কাউকে মুগ্ধ করতো। তিনি ছিলেন কওমী অঙ্গনের একজন অভিভাবক আলেমে দ্বীন। তিনি ছিলেন এদেশের এক পথ নির্দেশক আলেম। এ মুহূর্তে তাঁর ব্যক্তিত্ব ও অভিভাবকত্বের জায়গাটিতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা কখনো কিছুতেই পূরণ হবার নয়.

এমন সৌভাগ্যের মৃত্যু ক’জনের ভাগ্যেই বা জুটে? সারা মাস রোজা রেখে আবার ইতিকাফে থেকে ঈদের রাতে মহান প্রভুর সান্নিধ্যে চলে যাওয়া, সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু নসীব হওয়া এতসব সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার। এমন সৌভাগ্যের মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর প্রিয় বান্দারাই পেয়ে থাকেন! রমজানের রোজা পালনকারীরা ঈদের রাতে মহান আল্লাহ পক্ষ হতে পুরস্কার পেয়ে থাকেন। যে পুরস্কার তুলনাহীন। আল্লাহর এই প্রিয় বান্দাও সম্ভবত রমজানের পুরস্কার হিসেবে এমন রাতে মৃত্যু কামনা করেছিলেন। আল্লাহ বোধহয় তাঁর সেই দোয়াটিই কবুল করে এমন পবিত্র একটি রাতে সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু নসীব করেছেন। আল্লাহু আকবার! আল্লাহ আমরাও এমন মৃত্যু চাই। মৃত্যু তো একদিন আসবে। আমাদের মৃত্যুটাও যেন জায়নামাজে সিজদারত অবস্থায় হয়।।

এই শীর্ষআলেমে দ্বীন ইন্তেকাল এর এই সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অভিবাবক   শূন্য হয়ে  পড়ে যা খকনো পূরন হবার নয় এমতাবস্থায় মাদ্রাসা শূরা কাউন্সিলএর বৈঠক ডাকা হয়,  উক্ত সূরা কাউন্সিল এর  সর্বসম্মতিক্রমে মরহুম আল্লামা শাহ তৈয়ব শাহা্ র  দ্বিতীয় ছেলে হাফেজ মাওলানা খোবাইব সাহেবকে পরবর্তী মুহতামিম হিসাবে নির্বাচন করা হয়  অদ্য ১/৬/২০২০ থেকে তিনিই মুুুহতামিম এর দায়িত্ব পালন করবেন  নিচে বৈঠকের   বিস্তারিত তুলে ধরা হলো

অদ্য ১ /০৬/২০২০ ইংরেজি দুপুর ১২ টায় মোহতামিম সাহেব হুজুরের অফিস কক্ষে জামিয়া ইসলামীয়া পটিয়ার পরিচালক আল্লামা শাহ আবদুল হালিম বোখারীর সভাপতিত্বে পুর্ব ঘোষিত মজলিশে শুরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠক প্রয়াত মরহুম শাহ মোহাম্মদ তৈয়ব সাহেব হুজুর (রঃ) এর ইন্তেকালে শোক প্রকাশ ও মাগফিরাতের দোয়ার মাধ্যমে আরম্ভ হয়। এবং পুর্বে নির্ধারিত আলোচ্য বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুরার সদস্যগন তথা ১/আল্লামা শাহ আব্দুল হালিম বোখারী সাহেব প্রধান পরিচালক জামিয়া পটিয়া, ২/ আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী সাহেব নায়েবে মোহতামিম জামিয়া মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী ৩/আল্লামা ডঃ অ ফ ম খালেদ হোছাইন সাহেব সাবেক অধ্যাপক ওমরগনী এম,ই, এস, কলেজ চট্টগ্রাম ৪/ মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা ৫/ মুফতি হাবিবুল ওয়াহেদ সাহেব নির্বাহী পরিচালক রাজঘাটা আজিজুল উলুম মাদ্রাসা লোহাগাড়া চট্টগ্রাম ৬/ আলহাজ্ব এনামুল হক সাহেব তাবলীগ মুরুব্বি চট্রগ্রাম ৭/ আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউছুপ সাহেব পরিচালক সৈয়দুশ শোহাদা মাদ্রাসা রাউজান ৮/ শায়খুল হাদিস আল্লামা মুছা সন্দীপী জামিয়া জিরি ৯/ মওলানা আব্দুল ওয়াদুদ জিরি ১০/হাফেজ মওলানা খোবাইব সাহেব জামিয়া জিরি উপস্থিতিতে সর্ব সম্মতিক্রমে মুরুব্বিগন হুজুরের মেঝ ছাহেবজাদা হাফেজ মওলানা খোবাইব সাহেব কে পরবর্তী মোহতামিম হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করেন এবং মাদ্রাসা পরিচালনার বিষয়ে সাহস ও বিভিন্ন দিক সুপরামর্শ প্রদান করে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী সাহেব হুজুরের দোয়ার মাধ্যমে বৈঠক সমাপ্ত করা হয়। জুহুরের সালাতের পর আল্লামা বোখারী সাহেব হুজুর জামিয়ার সকল শিক্ষকগনকে উদ্দেশ্য করে সংক্ষিপ্ত সারগর্ভ নছিহত পেশ করেন।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares