চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির-শহীদ জিয়ার মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ।


rafiq প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ১৯:৫৪ / ১৯৪
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির-শহীদ জিয়ার মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ।

বিডি সংবাদ একাত্তর ডেস্ক 
১৭ অক্টোবর ২০১৯ ইংরেজী, বৃহস্পতিবার: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, ভারতের সাথে অন্যায় চুক্তির প্রতিবাদ করার অপরাধে আবরারকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। সেই সাথে আগ্রাসনের বিরোধিতা ও বাকস্বাধীনতাকেও পিটিয়ে মারা হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা তাদের মসনদ রক্ষার জন্য দাসত্ব ও অন্ধ দালালিকে চেতনা হিসাবে গ্রহণ করেছেন। এই স্বাধীন দেশে ভিসিরা ‘জয়হিন্দ’ স্লোগান দিয়ে পাচ্ছে পুরস্কার, আর আওয়ামী লীগের নেতারা পর্যন্ত অন্যায় চুক্তির বিরুদ্ধে কথা বললে দল থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন। তিনি আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে নবগঠিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়ার মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণকালে এ কথা বলেন।
এতে তিনি আরো বলেন, দেশের প্রতিবাদী ছাত্রসমাজ আজ স্ফুলিঙ্গের মতো জেগে উঠেছে। দেশের মানুষকে গুম-খুন-অপহরণ করে গত একদশক ধরে যেভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে, এটি জনগণ আর চলতে দেবে না। ক্ষমতাসীনদের জুলুম এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ করছে। সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আওয়াজ উঠেছে, আধিপত্যবাদী অপশক্তি ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে। কোনো আন্দোলন যেমন ব্যর্থ হয় না তেমনি দেশবিরোধী চুক্তি ও শহীদ আবরারের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনও ব্যর্থ হবে না। তিনি কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে দক্ষিণ জেলা বিএনপিকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
এ সময় বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোঃ হেলাল উদ্দীন বলেন, ছাত্রলীগের হাতে অস্ত্র, চাপাতি ও লগি বৈঠা দিয়ে বিরোধী মতের ছাত্রদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় ছাত্রলীগ এখন নৃশংস হানাদার বাহিনীকেও ছাড়িয়ে গেছে। ছাত্রলীগের জঙ্গিদের হাতে আবরার ফাহাদের নির্মম মৃত্যু প্রমাণ করেছে, একজন মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতালিপ্সার কারণে ছাত্রলীগকে জঙ্গি সংগঠনে পরিণত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে শহীদ জিয়ার মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এই সময় আবু সুফিয়ান বলেন, একটি ঐক্যবদ্ধ সংগঠনই পারে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে। নতুন কমিটির মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন সংগ্রামকে জোরদার করা হবে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, সদস্যবৃন্দ অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, অ্যাড. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, অ্যাড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, মোশারফ হোসেন, শহিদুল আলম বুলবুল, এম এ রহিম, এড. মিজানুল হক, নূরুল আনোয়ার, এড. ফোরকান, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, এম. মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এস এম মামুন মিয়া, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, মোজাফফর আহাম্মেদ টিপু, লিয়াকত আলী, অ্যাড. নূরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মেয়র আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু মো. নিপার, অ্যাড. ফৌজুল আমিন, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, নূরুল ইসলাম সওদাগর, জামাল হোসেন, ভিপি মোজাম্মেল, মেজবা উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, হুমায়ন কবির আনসার, লায়ন হেলাল উদ্দীন, আমিনুর রহমান চৌধুরী, হাজী রফিক, নবাব মিয়া, মো. ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান, এহসানুল মাওলা, নূরুল কবির, মইনুল আলম ছোটন, মোক্তার আহমেদ, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জিয়া উদ্দিন আশফাক, সাজ্জাদ হোসেন, লোকমান হোসেন মানিক, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, অ্যাড. কাশেম চৌধুরী, জসিম উদ্দিন আব্দুল্লাহ্, জসিম উদ্দিন, এসএম সলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, শওকত আলম ও কমিশনার নিলুফা ইয়াসমিন প্রমূখ।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares