বাংলাদেশের সিলেটে সূর্যগ্রহণ থাকবে ৩ ঘন্টা, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা


rafiq প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯, ০৪:৫২ / ৩৬৯
বাংলাদেশের সিলেটে সূর্যগ্রহণ থাকবে ৩ ঘন্টা, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা

বিডি সংবাদ একাত্তর ডেস্ক  পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে এক সরলরেখায় চাঁদ এসে গেলে সেই ছাড়ায় পৃথিবী পৃষ্ঠে পড়ে। এই মহাজাগতিক ঘটনার নাম সূর্যগ্রহণ। যদিও এই মুহূর্তে চাঁদ পৃথিবী থেকে কিছুটা দূরে থাকার কারণে চাঁদের প্রচ্ছায়া পৃথিবীর উপরে পড়বে। এর ফলে সূর্যকে একটি বলয়ের মতো দেখাবে।বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর)। এটি ২০১৯ সালের শেষ সূর্যগ্রহণ। উৎসবের এই মৌসুমে বছরের শেষ সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকবেন এশিয়ার একাধিক দেশের মানুষ।

তবে বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ ঘটবে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতরের জলবায়ু মহাশাখা।

সিলেটে শুরু হবে ৯টা ৩৬ সেকেন্ডে, সম্পন্ন হবে ১২টা ৩ মিনিটে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ সময় ১০টা ২৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড।

তবে সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন অনুসন্ধিৎসু বিজ্ঞান চক্র সংগঠন।

বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ সকাল ৯টা ২মিনিটে শুরু হয়ে সম্পন্ন হবে বেলা ১২টা ৬ মিনিটে। আর সর্বোচ্চ সূর্যগ্রহণ সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের বিজ্ঞানীরা।

সতর্কতা:
খালি চোখে, বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপের সাহায্যে সূর্যগ্রহণ না দেখতে অনুরোধ করেছেন বিজ্ঞান জাদুঘরের।

অনুসন্ধিৎসু বিজ্ঞান চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মো. শাহজাহান মৃধা জানান, সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়া এক্স-রে ফিল্ম, নেগেটিভ, ভিডিও এবং অডিও ক্যাসেটের ফিতা, সানগ্লাস, ঘোলা বা রঙিন কাচেও সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি ও অবলোহিত রশ্মি আটকে না। তাই কোনক্রমেই এগুলো দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখা উচিত নয়।

তিনি বলেন, ১৩ ও ১৪ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস বা আর্ক গ্লাস দিয়ে নিরাপদে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ১১ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস দিয়েও সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। সেক্ষেত্রে দুটি গ্লাস একত্র করে তারপর দেখতে হবে। তবে কোনো ফিল্টার দিয়েই একনাগাড়ে বেশিক্ষণ সূর্যের দিকে তাকানো যাবে না। সোলার ফিল্টার ছাড়াও পিনহোল ক্যামেরা দিয়ে কোনো স্ক্রিনের ওপর সূর্যের প্রতিবিম্ব ফেলে সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে পারে।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares