রফিক চৌধুরী ————————–দেশের ভোটারদের সাহস নিয়ে সকাল সকাল ভোট দিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সাহস নিয়ে সবাই মাঠে নামুন। ৩০ তারিখ ভোটের বিপ্লব করুন। ১৬ ডিসেম্বর যে বিজয় হয়েছিল, ৩০ ডিসেম্বর তেমনই বিজয় হবে। পরিবর্তনের জন্য ধানের শীষ প্রতীকে দেশবাসীর কাছে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, ধানের শীষে ভোট দিবেন, এটা এখন কোনো দলের প্রতীক না, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। ভোট বিপ্লবই নিশ্চিত করবে দেশের মালিকানা জনগণের।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারস্থ জোটের কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গণফোরাম সভাপতি বলেন, অনেকে ভয় পান,আমরা ভয় পেলে দেশ স্বাধীন করতে পারতাম না। ১৯৯০ সালে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত করতে পারতাম না। অতএব, ভোট গণনা না করা পর্যন্ত পাহারা দিন। ১৬ কোটি মানুষ, কতজনকে গ্রেফতার করবে তারা?
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ক্ষমতাসীনদের প্রচারণাকে ইঙ্গিত করে ড. কামাল বলেন, উন্নয়ন উন্নয়ন, এটা আইয়ুব খানের প্রত্যাখ্যাত বক্তব্য। ১৯৭১ সালে এটা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। গণতন্ত্র যদি না থাকে, মানবাধিকার যদি না থাকে, মানুষ যদি মালিকের ভূমিকায় থাকতে না পারে তাহলে এটাকে উন্নয়ন বলা যায় না। তারা একটা কথা বলে- উন্নয়ন চান না গণতন্ত্র চান? এটা ছিল ৪০ বছর আগের পুরনো কথা। উন্নয়ন আর গণতন্ত্র একটা আরেকটার বিপরীত না। গণতন্ত্রেই উন্নয়ন অন্তর্ভুত
ড.কামাল হোসেন বলেন, সরকার যদি মনে করত তারা জিতবে, তাহলে তো দুই নাম্বারি, তিন নাম্বারি করত না। আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করত না। এতেই বোঝা যায়, সরকার কতটা ভীত। তিনি বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। ৩০ তারিখ ভোটের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে পরিবর্তন চায়। দলীয়করণ থেকে মুক্ত হতেই আমরা এক হয়েছি। দলীয়করণ মানে জমিদারি, ভোট দিয়ে এ থেকে মুক্ত হব।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। নির্বাচনে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে তারা।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আচরণের কারণে বর্তমান সরকার নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :