শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান  ছিলেন বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা ৮৩ তম জন্ম বার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে—আলহাজ্জ্ব আব্দুরহমান


rafiq প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২১, ২০১৯, ০৮:১৫ / ২২৮
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান  ছিলেন বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা ৮৩ তম জন্ম বার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে—আলহাজ্জ্ব আব্দুরহমান

রফিক চৌধুরী জেদ্দা থেকে

প্রধান অতিথির বক্তব্যে——————জনাব  আলহাজ আব্দুর রহমান বলেন-সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিশেহারা জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন তিনি।আরও বলেন, ১৯৯১ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।আজকে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য এই সরকার যে পাঁয়তারা করছে তা কখনও সফল হবে না। এ দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ লোক বিএনপিকে সমর্থন করেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা পৌছে দেয়ার দাবী জানানো হয়।—————-সভাপতির বক্তব্যে জনাব আহমেদ আলী (মুকিব) বলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন বিশ্বনেতা, প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের সর্ববৃৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে পাঁচ বার রাষ্টীয় ক্ষমতায় জনগনের বিপুল সমর্থন নিয়ে এসে, দেশের উন্নয়ন উৎপাদনে এক বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেন দলের প্রতিষ্টাতা শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমান, বিশ্ব নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেন তার ধারাবাহিকতায় আগামী দিনের বাংলাদেশের ভবিষ্যত কর্ণধার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বর্তমানে বিশ্ব নেতাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।মুকিব বলেন দেশের মুক্তি, গনতন্ত্র, ব্যাক্তি,বাক,স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমান ছিলেন সোচ্চার।শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি সৃষ্টি করে ১৯ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সম্মান জনক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। একদলীয় শাসন থেকে জনগণকে মুক্তি দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। স্বল্প সময়ের শাসনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন। আইনের শাসন,যোগ্যতার সাথে প্রশাসন ও নিষ্ঠার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করে সারা পৃথিবীর কাছে শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান’র শাসনামল ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ।———————————–প্রধান বক্তা জনাব মনিরুজ্জামান তপন  বলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান এদেশে মেহনতি মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে তাইতো তিনি মাটি ও মানুষের রাখাল রাজা নামেও পরিচি,   দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিশেহারা জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন তিনি।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে৷ইন্জিনিয়ার নুরুল আমিন  বলেন ৩০ ডিসেম্বর   আমরা একটা ঘৃণিত ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেখেছি ,তিনি নেতা কর্মিদের বিভ্রান্ত না হয়ে সবাইকে  ধৈর্য ধরার  আহবান জানিয়ে  বলেন আওয়ালীগ এখন প্রসব বেদনায় ভুগছেন। জনগন এর মুক্তি দেবে খুবশিগগিরি, এবং তিনি শহিদ জিয়ার ভূয়সী প্রসেংসা করে বলেন শহীদ জিয়া ছিলেন বাংলার ইতিহাসের একজন সফল রাশট্র নায়ক, তাই  দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা উনাকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু  তাঁর আদর্শের পতাকাবাহী বিএনপি আজ দেশে বিদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সুসংগঠিত রাজনৈতিক সংগঠন। তিনি অচিরেই সৌদিআরব বি,এন,পি , যুবদল, জাসাস, সেচ্ছাসেবক দল,শ্রমিক দল জেদ্দা মহানগর সহ আঞ্চলিক কমিটিগুলোকে ঢেলে সাজানোর তাগিদ দেন।————————–বিশেষ অতিথি—আব্দুল মান্নান   বলেন আমি দেশের এই প্রহসনের নির্বাচন দেখে এসেছি ,কেউ রাতে  ঘরে থাকতে পারেনা গায়বী মামলা হামলায় মানুষ দিশেহা,পাকিস্তান আমলে রাজাকাররা যেমন করে ঘরে ঘরে পান্জাবীদের মুক্তি যোদ্ধাদের বাড়িঘর দেখিয়ে দিত তেমনি আওয়ামীলিগের নব্য রাজাকারদের আসফলন দেখে এসেছি ,এত হামলা মামলার পরেও জনগন বি,এন,পির সাথে সেটা আচঁ করতে পেরেই সরকারের ভাড়াটে লোকদের দিয়ে রাতের আধাঁরে ভোটের বাক্স ভরে রখেছে কারন তারা জানে জনগন ভোট দেবে না——————-,   এতে আরও বক্তব্য রাখেন  আল মামুন শিপন, আহমেদ রহিম চৌৌধুরী, ফরহাদ রুমি ,আলা উদ্দিন,ফয়েজ আলম,কছির,সেলিম ভাই রতন মোল্লা শাহজালাল, গাজী ইউসুফ রফিক চৌধুরী দিদারুল আলম, মোসারফ সামী, রিয়াজ,  খলিল,এনাম,  ইয়াসিন আলম, মাসুক  মাহমুদ কাইয়ুম,  হেলাল, নাসির,  ওমর মানিক ও  জাতীয়তাবাদী চট্টগ্রাম ফোরামের উপদেষ্টা ইলিয়াস বিন রসিদ,সহ সভাপতি,মুফিজুল আলম, সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক চৌধুরী  যুগ্ম সম্পাদক নজরুল সিকদার, মাহমুদ, প্রমুখ—–সহ উক্ত অনুষ্ঠানে  জেদ্দা  বি,এন,পি,র সকল
অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা  উপস্থিত ছিলেন–আলোচনা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি ওবাইদুল্লাহ, বিশেষ মোনাজাতে জিয়াউর রহমান ছাড়াও তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করেও দোয়া করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করেও মোনাজাত করা হয়।
ব্রেকিং নিউজ :
Shares