এক সপ্তাহ আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ফেলে যাওয়া মায়ের কোনো খোঁজই নেয়নি তার সন্তানরা। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঐ মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম ওরফে মনিরা (৫০)। তার স্বামীর নাম শাহজাহান মিয়া। বাড়ি ময়মনসিংহ হালুয়াঘাট উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে মিরপুর কমার্স কলেজের পাশে একটি বস্তির সালামের বাড়িতে তারা ভাড়া থাকেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ৭০২ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বেডে তিনি চিকিত্সাধীন। গতকাল ঐ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, মনোয়ারা বেগম বুক ব্যথা ও শ্বাস কষ্টে ছটফট করতে করতে বিছানা থেকে নিচে পড়ে যান। তাকে দেখারও কেউ নেই।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ এএসআই আব্দুল খান বলেন, ছেলে মোজাম্মেল সরকার ও বাড়িওয়ালা সালাম তাকে ৩ জুন ঢাকা মেডিক্যালের নতুন ভবনের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তিন দিন ঝড়বৃষ্টিতে ভিজে পড়ে থাকার পর অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সহায়তায় ৬ জুন তাকে ঢাকা মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকে তার পরিবারের কেউই তার খোঁজ নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘সন্তানদের জন্য মা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আর মাকে চিকিত্সা না দিয়ে ফেলে রেখে চলে যায় সন্তান। এ কেমন সন্তান?’
আপনার মতামত লিখুন :