অবরুধ উপেক্ষা করে কাশ্মীরে লাকো মুসল্লীর,জুমার নামাজ আদায়।


rafiq প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৯, ২০১৯, ২২:৫৫ / ২৪৮
অবরুধ উপেক্ষা করে কাশ্মীরে লাকো মুসল্লীর,জুমার নামাজ আদায়।

বিডি সংবাদ একাত্তর  ডেস্ক  পাঁচ দিন ধরে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে আছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর। কার্যত অচল হয়ে আছে গোটা অঞ্চল। দোকানপাট সব বন্ধ, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াত করারও উপায় নেই সাধারণ জনগণের। এমন অচলাবস্থার মধ্যেই আজ শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে হয়েছে কাশ্মীরিদের।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরিদের জুমার নামাজ আদায়ের প্রধান মসজিদ যেটি, শ্রীনগরের সেই জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেননি সাধারণ মানুষ। স্থানীয় মসজিদগুলোতেই জুমার নামাজ আদায় করতে হয়েছে তাঁদের। একসঙ্গে বেশি মানুষের জমায়েত হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে শ্রীনগর জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে দেয়নি পুলিশ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী রোববার পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করতে পারবেন মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরের জনগণ। কিন্তু শ্রীনগর জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে দেওয়া হবে কি না, সেই ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর গত সোমবার থেকে কাশ্মীরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাস্তাঘাট সম্পূর্ণভাবে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে। পাঁচ দিন পর আজ শুক্রবার থেকে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসকারী রাজ্যের নাগরিকেরা এই কয়েক দিন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

কাশ্মীরকে এভাবে অবরুদ্ধ করে রাখায় মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করছেন কাশ্মীরের শিক্ষিত ও তরুণ সম্প্রদায়। আলী সাইফুদ্দিন নামের এক তরুণ বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যযুগীয় অন্ধকার সময়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। মধ্যযুগে যেমন জনগণ নতিস্বীকার না করা পর্যন্ত রাজারা শহর অবরুদ্ধ করে রাখত, আমাদের সঙ্গেও ঠিক সেটিই করা হচ্ছে। বর্বর আচরণ করা হচ্ছে আমাদের সঙ্গে। জনগণের ওপর চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণের প্রদর্শনী হচ্ছে।’

আরিফ আখরুন নামের আরেক তরুণ বলেছেন, ‘কাশ্মীরের মানুষ এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলে সরকারকে এত সেনা মোতায়েন করতে হতো না, আমাদের চলাচল এভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হতো না। আমাদের জীবন দেখুন, আমরা যাযাবরের মতো বসবাস করছি। সরকার সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে। আধুনিক যুগে এটি কোনো স্বাভাবিক জীবন-যাপনের নমুনা হতে পারে না। যদি তাঁরা ভারতের সঙ্গে আমাদের একত্রিত করতে চায়, তাহলে আমাদের হৃদয় জিততে হবে তাঁদের। একজন কাশ্মীরি হিসেবে যদি আমি স্বেচ্ছায় ভারতের পতাকা ওড়াই, সেটিই হবে সত্যিকারের একত্রীকরণ। কিন্তু এখন কেবল আমাদের জমি জোর করে দখল করা হচ্ছে, এর বেশি কিছু নয়।’

সৈয়দ ইয়াওয়ার আব্বাস নামের অপর তরুণ বলেছেন, ‘আমরা হতাশ। যেদিন জনগণের সামনে সুযোগ আসবে, এই ক্ষোভের উদ্‌গিরণ অবশ্যই হবে।’

জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা এলাকার বর্ষীয়ান বাসিন্দা আবদুল খালিক নজর বিবিসিকে বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার হলে স্বাধীনতা দিবসের (১৫ আগস্ট) পরে নিতে পারত ভারত। আমাদের ঈদও সামনে। আমাদের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেউ শান্তিতে নেই আমরা। কেউ এ রকম সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করেনি।’

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা গত সোমবার বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মধ্য দিয়ে বাতিল হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই টুকরা করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য থেকে লাদাখকে বের করে তৈরি করা হয়েছে নতুন এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার কোনো বিধানসভা থাকবে না। জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তের আঁচ পড়েছে ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কেও। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান, প্রত্যাহার করেছে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত নিজেদের হাইকমিশনারকেও। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করার ঘোষণাও দিয়েছে ইমরান খানের সরকার। ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা এলাকার বর্ষীয়ান বাসিন্দা আবদুল খালিক নজর বিবিসিকে বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার হলে স্বাধীনতা দিবসের (১৫ আগস্ট) পরে নিতে পারত ভারত। আমাদের ঈদও সামনে। আমাদের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেউ শান্তিতে নেই আমরা। কেউ এ রকম সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করেনি।’

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা গত সোমবার বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মধ্য দিয়ে বাতিল হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই টুকরা করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য থেকে লাদাখকে বের করে তৈরি করা হয়েছে নতুন এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার কোনো বিধানসভা থাকবে না। জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তের আঁচ পড়েছে ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কেও। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান, প্রত্যাহার করেছে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত নিজেদের হাইকমিশনারকেও। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করার ঘোষণাও দিয়েছে ইমরান খানের সরকার। ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares