ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দার লঙ্ঘন করে এমন প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের পড়াশোনা করানো উচিত হবেনা।আহম্মদ শফি


rafiq প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১২, ২০১৯, ২১:১২ / ৩৭২
ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দার লঙ্ঘন করে এমন প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের পড়াশোনা করানো উচিত হবেনা।আহম্মদ শফি

 রফিক চৌধুরী———————– হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফি মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে দেয়া বক্তব্যের সঠিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবার। শনিবার (১২জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিজের বক্তব্যের বিষয়টি পরিষ্কার করে তুলে ধরেন তিনি।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমি মূলত বলতে চেয়েছি ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দার লঙ্ঘন করে এমন প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের পড়াশোনা করানো উচিত হবেনা। কিন্তু গণমাধ্যমে বক্তব্যটির খণ্ডাংশ উপস্থাপন করে আমাকে নারী বিদ্বেষী ও নারী শিক্ষা বিদ্বেষী বলে ভুল ব্যাখ্যাকারী হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন।”

এসময় শফি আরো বলেন, ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থায় শিক্ষা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনাসহ যাবতীয় সকল কিছুই রয়েছে। ইসলামে নারীদের শিক্ষার বিষয় উৎসাহিত করা হয়েছে।

উম্মুল মুমিনিন হজরত মা আয়িশা (রাঃ) ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। তিনি শিক্ষাগ্রহণ না করলে উম্মত অনেক হাদিস থেকে মাহরুম হয়ে যেত। তবে এর পাশাপাশি ইসলামের একটি মৌলিক বিধান হচ্ছে পর্দা। নারীদের পর্দার বিষয় ইসলামে সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে।

আমি বক্তব্যে বলতে চেয়েছি, শিক্ষাগ্রহণ করতে গিয়ে যেন পর্দার বিধান লঙ্ঘন করা না হয়। আমাদের দেশের বেশিরভাগ সাধারণ শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সহশিক্ষা দেয়া হয়। ছেলে-মেয়ে একই সাথে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এতে করে পর্দার লঙ্ঘন হয়। আমি মূলত এই সহশিক্ষা গ্রহণেই মানুষকে সতর্ক করতে চেয়েছি।

মেয়েদের শিক্ষার গুরুত্ব তুলে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, দেশের লাখো মাদরাসা ছাত্র ও ছাত্রীরা দাওয়ারে হাদিস পাশ করে মাস্টার্সের সমমান অর্জন করছেন। যে সম্মিলিত বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে হাজার হাজার নারী রাষ্ট্র স্বীকৃত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত বলে পরিগণিত হচ্ছে, সেই বোর্ডের প্রধান হয়ে আমি কিভাবে নারী শিক্ষার বিরোধী হলাম তা বোধগম্য নয়। আমি বা আমরা নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে নই, তবে নারীর জন্য নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয় আমরা আগেও সতর্ক করেছি, এখনো করছি।

আমরা চাই নারীরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক, তবে সেটা অবশ্যই নিরাপদ পরিবেশে থেকে এবং ইসলামের মৌলিক বিধানকে লঙ্ঘন না করে। নিরাপদ পরিবেশে রেখে নারীদের সর্বোচ্চ শিক্ষায় গুরত্বের জন্য উৎসাহিত করব আমরা চাই এ দেশের নারীরা শিক্ষিত হোক, কারণ মা শিক্ষিত হলেও সন্তান সঠিক শিক্ষা পাবে। নারীদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য পরিবেশ তৈরি করুন——যেখানে পরিচালক থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা সকলেই নারী থাকবেন। সে ধরনের শিক্ষা দানের ব্যবস্থা থাকলে আমরা তাতে উৎসাহিত করবো ইনশাআল্লাহ

ব্রেকিং নিউজ :
Shares