হামলাও করলো আওয়ামীলীগ, মামলাও করলো আওয়ামীলী, –মির্জা ফকরুল ইসলামআলমগীর।


rafiq প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮, ২৩:৫২ / ২৫৩
হামলাও করলো আওয়ামীলীগ, মামলাও করলো আওয়ামীলী, –মির্জা ফকরুল ইসলামআলমগীর।

রফিক চৌধুরী———-আওয়ামী লীগ সরকার আবারো ক্ষমতায় থাকার জন্য ডিজিটাল ফর্মুলা বাস্তবায়ন শুরু করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ঠাকুরগাঁওয়ে তিনদিনের নির্বাচনীয় প্রচারণা শেষে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসার প্রথম দিন গুনবাড়ি দানারহাট এলাকায় গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের হামলায় এতে ৫/৬টি গাড়ি ভাংচুর ও ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।’

কিন্তু নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠ থাকার জন্য প্রতিপক্ষদলীয় কর্মীদের উস্কানিতে পা না বাড়াতে দলীয় কর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি। হামলার ঘটনায় জেলা রিটার্নিং অফিসারকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু একদলীয় শাসন ব্যবস্থার সরকার প্রমান দিলো যারাই হামলা করলো, আবার তারাই মামলা করলো।’

ওই দিনের ঘটনায় ৫৭ জন বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে আওয়ামী লীগ। আইন শৃঙ্খলবাহিনী একজনকে আটক করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সকল দল যখন সরকার পতন করতে ঐক্যবদ্ধ তখন নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সরকার ইতিমধ্যে বিএনপির গণজোয়ারে হতাশ হয়ে পড়েছে। তাই দলীয় ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচন বানচাল করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তারা।’

নির্বাচন কমিশন ব্যর্থতায় পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ইসি ভোটের আগে নতুন কোন মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানী না করার কথা দিয়েছিলেন। সংলাপে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন আর কোন মামলা, গ্রেফতার করা হবে না। সুষ্ঠ পরিবেশে সকল দলের অংশ গ্রহনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন কতটুকু পত্রিকা ও টিভিতে চোখ রাখলে বোঝা যায়।’

নেতাকর্মীদের আবারো উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন ‘কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। আমরা নির্বাচনে যাব এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখব। জাতির এই কঠিন সঙ্কটে নির্বাচনই হচ্ছে একমাত্র পথ। যার মাধ্যমে আমরা পরিবর্তন আনতে পারি।

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির কোনো বন্দুক-পিস্তল-অস্ত্র নেই, শুধু রয়েছে ভোটের দিনে একটি ব্যালট পেপার। যা দিয়ে সরকার পরিবর্তন করা যেতে পারে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জনগণই পারে ধানের শীষে একটি করে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে।’

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ- সভাপতি পয়গাম আলীসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্ম ও ঠাকুরগাঁও জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রার্থী সংসদ রমেশ চন্দ্র সেন অভিযোগ করে বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা সাজানো ও নির্বাচনী কৌশল।’ আর এই মিথ্যা ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন রমেশ চন্দ্র।

উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণায় ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ১১ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও এসেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আজ রাতে বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ঠাকুরগাঁও ত্যাগ করে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares