কুলাউড়া কর্মধা ইউনিয়নে ভাতার কার্ড দেয়ার নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ


rafiq প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০, ০৩:০০ / ২১৩
কুলাউড়া কর্মধা ইউনিয়নে ভাতার কার্ড দেয়ার নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ

কুলাউড়া কর্মধা ইউনিয়নে ভাতার কার্ড দেয়ার নামে টাকা আদায়ের অভিযো

বিশেষ প্রতিনিধি কুলাউড়াঃ বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে । এর মধ্যে যারা ভূমিহীন, বিত্তহীন এবং বার্ধক্যের কারনে যারা দৈহিক পরিশ্রমে অক্ষম তারাই সবচেয়ে বেশি দারিদ্রের শিকার । বয়স্ক এবং কাজ করতে অক্ষম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ সরকার, বয়স্ক ,বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতা প্রদান কর্মসূচী চালু করেছে । গ্রাম এলাকায় এই কর্মসূচী বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পরিষদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা । সেই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজা কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে বয়স্ক ,বিধবা ও প্রতিবন্ধিদের দেয়া হচ্ছে ভাতার বই । সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিশেষ বরাদ্ধের আওয়তায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কর্মধা ইউনিয়নে । বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতার কার্ড যারা তালিকা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে । ভাতার বই দেয়ার নাম করে নিচ্ছে হাজার টাকা এই অভিযোগ উঠেছে কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মহিলা মেম্বার লক্ষি রানী গোয়ালার । এদিকে কর্মধা ইউনিয়নের আহমেদ রিয়াজ নামের এক ব্যক্তি গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ ফেইচবুকে লাইভে এ দুর্নীতির প্রতিবাদ করেন , আহমেদ রিয়াজ বলেন কর্মধা ইউনিয়নে রাস্তা কালভার্ট ৪০দিনের কর্মসূচি রাস্তায় মাটি ভরাট সহ বয়স্ক ,বিধবা ও প্রতিবন্ধি আরো অনেক প্রকল্পে দুর্নীতি করে টাকা লুট করছেন কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক ও তার সহযোগিরা । কর্মধা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পুর্ব বাবনিয়া গ্রামের মৃত রইছ আলীর আম্মা প্রায় শত বছরের বয়সী নারী এই বৃদ্ধার কাছ থেকে বয়স্ক ভাতার টাকা থকে টাকা নেয়ার চেষ্টা করছিলেন চেয়ারম্যানের লোক এখই গ্রামের পারুল নামের একব্যক্তি । আরেক ভাতা কার্ড প্রাপ্ত পুর্ব হাসিমপুর প্রতিবন্ধীআমই বেগমের কাছে কাছে ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ টাকা চাচ্ছে । গুতুম পুরের আরেক ভাতা বই প্রাপ্ত বিধবা নারী তার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে সাবধান করে বলেন অনেক কষ্ট বিনিময় কার্ড করে দিছি ।

এ বিষয় কর্মধা ইউনিয়নের চেয়াম্যানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন তিনি ফোন রিসিভ করেন নি । এদিকে এই ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার লক্ষী রানি গোয়ালার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ভাতার কার্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে হাজার টাকা নেয়ার বিষয় অশিকার ও মিত্যা বলে দাবি করেন , তবে আরেকটি কথা তিনি বলেছেন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীরা খুশিমতে কিছু টাকা দিলে চেয়াম্যান ও মেম্বাররা নেন বলে জানিয়েছেন ।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares