ঝুকিতে পড়তে যাচ্ছে বিশেষ বরাদ্দের বাহিরে থাকা-দেশে প্রবাসীদের পরিবার গুলো।


rafiq প্রকাশের সময় : মে ১৬, ২০২০, ২৩:১২ / ২৩৪
ঝুকিতে পড়তে যাচ্ছে বিশেষ বরাদ্দের বাহিরে থাকা-দেশে প্রবাসীদের পরিবার গুলো।

ঝুকিতে পড়তে যাচ্ছে বিশেষ বরাদ্দের বাহিরে, থাকা দেশে প্রবাসীদের পরিবারগুলো।

মক্কা(সৌদিআরব) প্রতিনিধি তাজউদ্দিন তারেক।

করােনার মহামারীতে বিশ্বব্যাপী রেমিটেন্স ধসের কারণে তিন ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে দেশে প্রবাসীদের এক কোটি পরিবার। প্রবাসে চাকরিচ্যুত ও মজুরি কমে যাওয়ায় অর্থ সংকটের মুখে পড়ে দরিদ্র হবে অনেক পরিবার। রেমিটেন্স প্রবাহ হ্রাসে সন্তানদের শিক্ষা খাতে ব্যয় বন্ধের উপক্রম হবে। পাশাপাশি বাড়বে সমাজে ছোট বড় অপরাধের সংখ্যা।

যে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন, তার বড় অংশই রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে। এর মধ্যে শুধু সৌদি আরবে গত দু’মাস যাবৎ লকডাউনে ঘর বন্ধি হয়ে বসে আছে প্রায় ২২ লক্ষ প্রবাসী। যারা খাদ্য এবং অর্থ সংকট দিন কাটাচ্ছেন।

ইতিমধ্যে মহামারি করোনা ভাইরাসের জন্য প্রবাস ফেরতদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের ঘোষনা করেছেন। যা বাস্তবায়ন হবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে। এটা নির্সন্দেহে প্রশংসনীয়। এর পাশাপাশি যদি বর্তমানে প্রবাসীদের অবস্থানরত প্রবাসীদের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ চালু করলে ভালো হতো। বর্তমানে প্রবাসে যারা অবস্থান করছেন তারা খুব কষ্টকর পরিস্থিতিতে আছেন। অনেকের বেকার আকামা(আইডি কার্ড) মেয়াদ শেষ। টাকার জন্য আকামার মেয়াদ বাড়াতে পারছেন না। কাজ না থাকায় দেশে পরিবারের জন্য টাকা পাঠাতে পারছেন না। যার ফলে দেশে পরিবার ও প্রবাসী নিজেস্ব বেকারত্ব নিয়ে ২ দিকেই সমস্যায় পড়ছেন প্রবাসী এবং প্রবাসীদের পরিবার গুলো। সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত টানা ২ মাস লকডাউন চলতেছে। এর মধ্য শুধু দুর্চিন্তায় ষ্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন প্রায় ৬৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশী। প্রতিদিনেই এই মৃত্যু মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। যোগ হচ্ছে নতুন প্রবাসীর নাম। আমার এখানে প্রবাসীদের সাথে কথা বললে তারা তাদের অর্থ সংকট দেশে পরিবার খরচ ও নিজের বেকারত্বের দুর্সহচিন্তার কথা বলেন। সৌদিতে বর্তমানে প্রায় ২২ লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশীর বসবাস। এর মাঝে অনেকেই ব্যাংক লোন অথবা কিস্তিতে টাকা নিয়ে নতুন এসেছেন। লকডাউন জন্য কাজ করতে পারছেন। অর্থওখাদ্য সমস্যায় ভুগছেন। তাই প্রবাস ফেরতদের পাশাপাশি প্রবাসী অবস্থানরত প্রবাসীদেরও দেশে পরিবারদের সুদ মুক্ত বা স্বল্প সুদে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করা জরুরী।

সর্বশেষ বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় প্রবাসীদের রেমিটেন্স কমার সাথে সাথে পরিবারে শিশুশ্রম ও সমাজিক অপরাধ বৃদ্ধির শঙ্কাও আছে । প্রবাসীদের পরিবার নিয়ে এমন শঙ্কা বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দিয়ে বলা হয়েছে- করােনার প্রভাবে ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী রেমিটেন্স ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে। আর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়াতে এর মাত্রা হবে আরও বেশি। সম্প্রতি ‘ ডিকলাইন অব রেমিটেন্স ইন রিসেন্ট হিস্ট্ররি ’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক ।

তাই প্রবাস ফেরতদের সাথে সাথে প্র বা সে অবস্থানরত প্রবাসীদের পরিবার গুলোকে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করলে সরকার বা রাষ্ট্রের উপকার হবে বেশি। যেমনি প্রবাসে বেকার হওয়া শ্রমিকের অর্থ সংকট কেটে উঠতে পারবে। তেমনি বেকার হওয়া প্রবাসীকে দেশে ফেরত যেতে হবে না। পরিবারের অর্থ সংকট কেটে উঠার পাশাপাশি সমাজে অপরাধ বাড়ারও সম্ভাবনা থাকবে না। তাই বিষেশ করে সৌদি আরব সহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর প্রবাসীদের পরিবারের জন্য সরকারের বিশেষ প্রোণদনা ঘোষনা করার অনুরোধ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় প্রবাসীরা।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares