হুন্ডি ও ভিশার ব্যবসা করে নিরহ মানুষকে সর্বশান্ত করে চলছে এই প্রতারক চক্র।


rafiq প্রকাশের সময় : মার্চ ১৫, ২০১৯, ০৬:৪১ / ২২৮
হুন্ডি ও ভিশার ব্যবসা করে নিরহ মানুষকে সর্বশান্ত করে চলছে এই প্রতারক চক্র।

বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম।হুন্ডি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অবাধে চালাচ্ছে রমরমা ব্যবসা।

খুব তাড়াতাড়ি টাকা বানানো এত সোজা নয় কিংবা সঠিক পথে অর্থ উপার্জন করলে ধনী হতে লাগে অনেক সময় আর তাই আমাদের দেশে এখন রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়ার জন্যে করে যাচ্ছে যত ধরনের অবৈধ পন্থা আছে তার সব।
আর তেমনি একটি পথ হুন্ডি ব্যবসা। যা দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোকে ধ্বংস করে দেয়। বিদেশ থেকে সরাসরি ব্যাংকিং ও বৈধ পন্থায় টাকা না পাঠিয়ে চোরা কারবারীদের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নামই হুন্ডি ব্যবসা। আর এই হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে অনেকেই হচ্ছেন রাতারাতি টাকা ওয়ালা। এক্ষেত্রে তারা পরিচালক হিসেবে থাকেন বিভিন্ন দেশে আর দেশে এজেন্ট হিসেবে থাকে কয়েকশ লোক। মুলত এই ব্যবসাকে পুজিঁ করে রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে সৌদি আরবের মক্কা শরীফে হোটেল ব্যবসায়ী নামে পরিচিত মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন, আর বাংলাদেশে তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করছেন চট্টগ্রামের পটিয়ার খানমোহনাস্থ তার ছোট ভাই জাহেদ হোসেন। গোপন সুত্রে জানা যায় সৌদি আরবের আদম ব্যবসা করে প্রচুর টাকা আয় করে এই জাবেদ হোসেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে নারী পাচার করে সৌদি আরবে নিয়ে ব্যবসা করেন। অনেক লোকের কাছে ভিসা বিক্রী করে ভিসা না দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। আর এসব কাজে বাংলাদেশ থেকে সব কিছু পরিচালনা করেন জাহেদ হোসেন। তারা ব্যবসার জন্য আপন ভাইকেও বলি করে দিতে পারে তাদেরই ছোট ভাই রাশেদ হোসেনের একাউন্টের মাধ্যমে হুন্ডির টাকা জমা করে। তার কাছ থেকে শুধু মাত্র স্বাক্ষর নেওয়া ছাড়া আর কোন কাজ তার নেই । এমনকি রাশেদ হোসেনকে বিদেশে নিয়ে ভিসা জালিয়াতিতে ফেলে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। তারই আপন চাচাত ভাই সাইফুল ইসলামকে সৌদি আরবের ভিসা দিয়ে নিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। অথচ তার এক টাকা ক্ষতি পূরণ দেয় নাই।জাবেদ জাহেদ সিন্ডিকেট মানুষের অর্থ আত্মসাতের জন্য অভিযোগ রয়েছে তাদে বিরুদ্ধে।আপন চাচার সাথে মামলা মোকদ্ধমা চলছে।জাহেদ গ্রেফতার হলেও টাকা দিয়ে সে জামিন নিয়ে নেয়।সবাই জানে জাহেদ হোসেন একজন বেকার কিন্তু সে এত টাকা উড়ায় কিভাবে। হুন্ডি সিন্ডিকেট ব্যবসায় সে অন্যতম। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন একাউন্ট ব্যবহার করে এমনকি নিজের একাউন্ট ও ব্যবহার করে কিন্তু তার আয়ের উৎস না থাকলেও তার একাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা আদান প্রদান হয়। ইতিমধ্যে আলাউদ্দিন নামের তাদের একজন এজেন্ট ৩ মাস তাদের হুন্ডি ব্যবসায় টাকা আদান প্রদান করে পরে সে তাদের সাথে কাজ ছেড়ে দেয়।
দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্থকারী এসব হুন্ডি ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ করা অতীব জরুরী। এদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাষনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares