সৌদি আরবে ভাগ্য অন্বেষনে এসে আল আমিন আজ ভারসাম্যহীন পথহারা পথিক। ।


rafiq প্রকাশের সময় : জুন ২১, ২০২০, ১৬:০১ / ৩২৭
সৌদি আরবে ভাগ্য অন্বেষনে এসে আল আমিন আজ ভারসাম্যহীন পথহারা পথিক।  ।

বিডি সংবাদ একাত্তর ডেস্ক  ফেসবুকে দেয়া একটি ভিডিও পোষ্ট জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে, টাঙ্গাইলের ছেলে সৌদী প্রবাসী আলামিনের। সৌৌদিতে  নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে    মানসিক ভারসাম্যহীন পথ হারিয়ে , জেদ্দা শহরে ঘুরতে থাকে সে।একটি ফেইসবুক পোস্টের সূত্র    ধরে পরিচয় মেলে আলামিনের এবং বিষয়টি জানতে পারে তার পরিবার। আল আমিনের অস্থায়ী ঠাঁই মিললেও,কোন স্থায়ী ব্যবস্থা এখনো হয়নি। এদিকে,বৈধ কাগজপত্র না থাকায়,দেশে পাঠাতেও রয়েছে আইনি জটিলতা। সব জটিলতা কাটিয়ে ছেলেকে দেশে পাঠাতে বাংলাদেশ সরকার এবং সৌদী আরবের দূতাবাসের সহযোগীতা চেয়েছেন আলামিনের বাবা-মা।

টাঙ্গাইল জেলার গালা ইউনিয়নের পাঁচবেথইর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে আল আমিন। গত ৫ মাস আগে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে যান। জেদ্দায় নির্মানাধীন নতুন বিমান বন্দরের ক্লিনার হিসেবে কিছুদিন কাজ করার পর,মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। সেই সাথে একাধিকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করেন বলে জানান, কোম্পানির বাংলাদেশী ম্যানেজার,আলী। অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার দেখালেও কোন উন্নতি হয়নি,সবশেষ ২৬ রমজান রাতের আঁধারে কোম্পানী থেকে বের হয়ে যান আল আমিন।

সৌদি আরবের জেদ্দায় হেরাম সেন্টারের সামনে,পাগলের মতো ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি।গত ৩ দিন আগে বাংলাদেশী প্রবাসী মামুন,রাস্তায় আলামিনকে অস্বাভিকভাবে চলাফেরা করতে দেখে,একটি ভিডিও চিত্র ধারণ করে,বাংলা টিভির জেদ্দা প্রতিনিধি সাইফুল রাজীবের সহযোগিতা কামনা করেন,সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে,প্রবাসীরা আলামিনকে উদ্ধার করে সু-চিকিৎসা দিয়ে,দেশে পাঠানোর আহ্বান জানান। সে প্রেক্ষিতে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে আল আমিনকে উদ্ধার করে,অস্থায়ীভাবে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন মামুন,সাইফুল রাজীব ও নিশান।

আলামিনের বাড়িতে গেলে স্বজনরা জানায়,কোন কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে আলআমিন। এরই মধ্যে দেশ থেকে তার পরিবার তার কাছে টাকাও পাঠায়। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরে আলামিন।ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে দিতে দেশটির দূতাবাসসহ বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা চেয়েছেন তার বাবা- মা।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানালেন, আলামিনের বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। ঋন করে টাকা নিয়ে আলামিনকে বিদেশ পাঠিয়েছেন। আলামিন যাতে সুস্থ শরীরে দেশে ফিরে আসতে পারে সে ব্যাপারে তিনিও সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।

বৈধ কাগজ না থাকায় আল আমিন কে দেশটির প্রচলিত আইন অনুযায়ী ডিপোর্টেশন সেন্টার ও সৌদি সরকারের আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরতে হবে। এ ক্ষেত্রে তার যদি পাসপোর্ট না থাকে,তা সরবরাহ করবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায়,এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক সময় লাগবে।

এখন আল আমিনের সু চিকিৎসা ও নির্ভরযোগ্য অভিভাবক প্রয়োজন। তা না হলে আল আমিনকে পুনরায় দেশের প্রশাসন বা স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট এর কাছে হস্তান্তর করা ছাড়া অন্য কোন প্রক্রিয়া নেই। তার কাছে কোন ডকুমেন্ট না থাকায় কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করাও সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় আলামিন সুস্থ শরীরে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসবে এটাই প্রত্যাশা সবার।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares