বাংলাদেশের জয়ের দুই নায়ক তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।


rafiq প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮, ২১:৪১ / ৩৪৩
বাংলাদেশের  জয়ের দুই নায়ক  তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।

রফিক চৌধুরী————তামিম ইকবালের টানা দ্বিতীয় বাউন্ডারিটা আছড়ে পড়লো সীমানার বাইরে। সিলেটের নয়নাভিরাম গ্যালারি জুড়ে উঠলো চিত্কার। ভুবন জয়ের মতো আনন্দে মাতলো স্টেডিয়াম।

এমন কিছু উত্তেজনার ম্যাচ ছিল না। একেবারে একতরফাভাবে জয় পেল বাংলাদেশ। তারপরও গ্যালারিতে এই উত্সবের কারণ হলো- এই জয়ের ভেতর দিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গতকাল ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটে হারালো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। সাথে দলটির বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিলো স্বাগতিক বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগে ব্যাট করে মাত্র ১৯৮ রান করতে পেরেছিল। সেই রানকে একেবারে মামুলি বানিয়ে দিলো তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের ১৩১ রানের জুটি।বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন তামিম ও লিটন। ব্যক্তিগত ২৩ রান করে লিটন ফিরে আসেন। এরপর উইকেটে আসেন সৌম্য সরকার। আগের দিন অধিনায়ক মাশরাফি বলে গেছেন, সৌম্য তিন নম্বরে সেরা। সেই কথার প্রমাণ রেখে দারুণ আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেন সৌম্য। এক সময় তামিমকে পেছনে ফেলে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মারকুটে ব্যাটিং করতে গিয়েই সেঞ্চুরি থেকে ২০ রান দূরে থাকতে ফিরে আসেন। ৮১ বলে ৫টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য।

সৌম্য ফেরার পর বাকিটা সময় মুশফিকুরকে নিয়ে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিয়ে জয় এনে দেন তামিম। শেষ পর্যন্ত তামিম ১০৪ বলে ৯টি চারে সাজানো ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্য প্রান্তে মুশফিক ১৪ বলে ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশকে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। ভালো করে বললে বলতে হয়, কাজটা করে দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। গতকাল ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে এই তরুন বাঁহাতি স্পিনার নিয়েছেন ৪ উইকেট। এটা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আর এই বোলিংয়ের কারণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্প রানে আটকে রাখতে পারে বাংলাদেশ।

শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে ধাক্কা দেন মিরাজ। চতুর্থ ওভারে তিনি তুলে নেন ৯ রান করা চন্দরপল হেমরাজের উইকেট। এরপর শাই হোপের সাথে একটা ছোট জুটি করা ড্যারেন ব্র্যাভোকেও ফেরান মিরাজ; ব্রাভো করেছিলেন ১০ রান।

এই সিরিজে গতকাল প্রথম ম্যাচ খেললেন সাইফউদ্দিন। তিনি আক্রমণে এসে তুলে নেন মারলন স্যামুয়েলসের উইকেট। এখান থেকে মিরাজ তুলে নেন টানা ২ উইকেট। সিমরন হেটমেয়ারকে এই সিরিজে ষষ্ঠবারের মতো আউট করেন মিরাজ। হেটমেয়ারকে খাতা খোলারই সুযোগ দেননি তিনি। এরপর ১ রান করা অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলকেও ফেরান মিরাজ।

মিরাজ কাজ শেষ করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা যেন শাই হোপকে সঙ্গ দিতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করেন মাশরাফি ও সাকিব। সাকিব এসে রোস্টন চেজ ও ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের উইকেট তুলে নেন। আর মাশরাফি ফেরান কেমু পল ও কেমার রোচের উইকেট।

এই প্রতিকূলতার মধ্যেও অবশ্য ক্যারিবীয়ানদের নতুন আশা শাই হোপ তার কাজ করে গেছেন। ইনিংস শুরু করতে নামা এই ক্যারিবীয় তারকা টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন গতকাল। ১৩১ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজ ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেন। সিরিজ সেরা হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপ।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares