আজ মহান মে দিবস,শ্রমিকএর অধিকার আদায়ের দিনটি পালিত হচ্চেআমাদের দেশেও


rafiq প্রকাশের সময় : মে ২, ২০১৯, ০৪:৫১ / ২৩৮
আজ মহান মে দিবস,শ্রমিকএর অধিকার আদায়ের দিনটি পালিত হচ্চেআমাদের দেশেও

বিশেষ সংবাদ দাতা শ্রমজীবি মানুষদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। এই দিনটি শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে। এটি মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার আর শ্রমিকদের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটার স্বপ্ন দেখারও দিন। দিনটিকে ঘিরে নানা কর্মসূচি পালন করছে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকেও দেখা গেছে একই চিত্র। ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফেইসবুক পেইজ ও প্রোফাইলে দিনটি উপলক্ষে নানা স্টাট্যাস দেয়া হয়েছে। সেখানে সকলেই শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রদর্শনের পাশাপাশি তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা দাবিতে সোচ্চার।

বিশিষ্ট আইনজীবী ড. তুহিন মালিক তার ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘পহেলা বৈশাখে চাকুরীজীবীরা উৎসব ভাতা পেলে, পহেলা মে শ্রমিক দিবসে শ্রমিকরা শ্রম ভাতা পাবে না কেন? যাদের ঘামে দেশ সচল সেই কৃষক-শ্রমিকের উৎসবটা কোথায়?’

‘আজ মহান মে দিবস। জয় হোক মেহনতি মানুষের। পৃথিবীর সকল খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’- লিখেছেন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান।

সাংবাদিক নাসরিন গীতি বিস্ময় প্রকাশ করে স্টাট্যাস দেন, ‘১৩৩ বছরেও কি মহান মে দিবসের অর্জন বাস্তবায়িত হচ্ছে!! কি শিক্ষিত, কি নিরক্ষর শ্রমিকদের। তবে একটা শ্রেণি খুব ভালো আছে বৈকি।’

‘শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য প্রাপ্য আদায়ের জন্য শান্তিপুর্ন আন্দোলন করলে তাদের বুকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হল তাদের জন্য ভাতা।’- মামুনুর রশিদের মন্তব্য।

চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা লিখেন, ‘পৃথিবীর সকল শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে সবাইকে জানাই শ্রমিক দিবসের শুভেচ্ছা।’

‘মহান মে দিবস। স্বপ্ন গড়ার সকল শ্রমজীবী যোদ্ধাদের জানাই গভীর শ্রদ্ধা।’ – এভাবে সম্মান জানান এমডি শাহিন।

রবিউল হোসানের দাবি, ‘কর্মক্ষেত্রে আমিও যেহেতু শ্রমিকের কাতারে, সকলের শ্রমিকের অধিকার চাই।’

শ্রমিকদের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে জহির ইয়ামিন লিখেন, ‘শ্রমিকের জন্য ভালোবাসা হোক প্রতিদিন। মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা।’

উল্লেখ্য, ১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য এবং দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এসময় পুলিশ আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায়। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক মারা যান এবং আহত হন অনেকে। তাঁদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে ১ মে পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ দেশে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে ১ মে জাতীয় ছুটির দিন। আরও অনেক দেশে এটি বেসরকারিভাবে পালিত হয়।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares