রফিক চৌধুরী সৌদি আরব প্রতিনিধি বিডি সংবাদ একাত্তর ঃ লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত পুরো আরাফাত ময়দান, আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মিনা থেকে
বাস ট্রেন ও পায়ে হেটে সকল হাজী সাহেবগন
সেলাই বিহিন দুই টুকরা সাদা কাপড়ে, ৪৮ সেলসিয়াস ডিগ্রি তাপমাত্রা উপেক্ষা করে
ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে সমবেত হন।
এবার ১৮ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান
একসাথে হজ্জ করছেন।
ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে অবস্থিত মসজিদ আল মিনারে থেকে
খোদবা পরিবেশন করেন পবিত্র মক্কা শরিফ এর ঈমাম শাইখ ডঃ মাহের বিন হামেদ আল মুয়াইকিলি, তিনি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য দোয়া করে শেখ মাহের বিন হামাদ আল মুয়াইকিলি বলেন, ‘হে মানুষ, আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য করো, কোরআনে বলা হয়েছে যে অন্যায় করবে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন। ‘ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য এবং বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আর যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে সে এমন জায়গা থেকে রিজিক পাবে যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না।’
খোদবা৷ টি বাংলা তরজুমা করেছেন কুমিল্লার কৃতী সন্তান ডঃ সফিকুর রহমান এবার হজ্জের খোদবা বাংলা ভাষা সহ ২০ টির ও বেশী ভাষায় অনুবাদ করা হইয়াছে।
এবার হাজীদের সেবায় সৌদি সরকারের নেওয়া ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল প্রসংশনীয়।
পুরো মক্কা নগরী নিঃছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ডেকে দিয়েছে।
স্পেশাল পুলিশ ফোর্সের সাথে সাথে রয়েছে সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মত। নারী পুলিশ ও,ছিল পর্যাপ্ত।
প্রস্তুত রাখা হয়েছে সৌদি বিশেষ গার্ড রেজিমেন্ট,
এছাড়া ও সর্বক্ষণীক প্রস্তুত ছিল ৫ হাজার এম্বুলেন্স ফায়র সার্ভিস হেলীকেপ্টার ও পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম, প্রচন্ড গরম রোধে শীতলতা করার জন্য আরাফাত ময়দান জুড়ে ছিল বিশেষ ঝর্ণা।
আগত হাজীরা মুখে একমাত্র মহান আল্লাহর বানী লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক, লাব্বাঈক–
আলা শরিক আলা-কা লাব্বাঈক।
ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’য়মাতা, লাকা ওয়াল মূলক, লা শরিক আলা-ক,
সারাদিন আরাফাত ময়দানে আল্লাহর জিকির আজগার এবাদত বন্দগীর মধ্যে দিয়ে সারাদিন পার করেছেন হাজীরা তাদের কৃতকর্মের জন্য কান্না জড়িত কন্ঠে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। দোয়া করেন পরিবার বর্গ সহ
দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তি কামনায় মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভে মগ্নছিলেন সারাক্ষণ ।
এবং আরাফাত ময়দানে এক আযান দুই একামতে যোহর ও আসর কসর নামাজ আদায় করেছেন।
আজ থেকে ১৪ শ বছর পূর্বে বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফায় শেষ ভাষন দিয়ে ছিলেন, তিনি বলেছিলেন আজ পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামের বিধান কায়েম হল,আর কোনমতানঐক্য ও বেদাবেদ থাকলো না।
সকল বর্ণের মসুলমানরা এক অপরের ভাই তোমরা আল্লাহর নৈকট্য ও তাকওয়া অর্জন করো।
আরাফার দিন সূর্য অস্ত শেষে হাজীরা মুজদালিফা এসে একসাথে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করে পাথর সংগ্রহ করে রাত্রী যাপন করবেন এবং
১০ই জিলহজ্জ
মিনায় সয়তানকে পাথর নিক্ষেপ ও কোরবানি দিয়ে মাতামন্ডু করে এহেরাম ত্যাগ করে হালাল হয়ে তওয়াফে সাই করে, মিনায়
তিন দিন পযন্ত অবস্থান ও সয়তান কে পাথর নিক্ষেপ করার পর মক্কায় এসে বিদায় তওয়াফ এর মধ্যে দিয়ে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হবে। শেষ খবর পাওয়া
পযন্ত ১৯ জন বাংলাদেশী হাজী মৃতু বরণ করেছে তাছাড়া এখনো বড় কোন দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের সৌদি আরব প্রতিনিধি রফিক চৌধুরীর পাঠানো তথ্য ও ভিডিও চিত্র দেখুন একটি বিশেষ রিপোর্ট।।
আপনার মতামত লিখুন :