হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে শুনানি হয়নি খালেদার আবেদনের


rafiq প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮, ২২:৫২ / ১৮৬
হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে শুনানি হয়নি খালেদার আবেদনের

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুুপুর ২টায় এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে আদালতের প্রতি ‘অনাস্থা’ দেন। শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, দ্বিধাবিভক্ত আদেশের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য জ্যেষ্ঠ বিচারপতির বেঞ্চে না দিয়ে কনিষ্ঠ বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। যদিও রেওয়াজ আছে এসব বিষয় নিষ্পত্তির জন্য জ্যেষ্ঠ বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানো হয়ে থাকে। ফলে আমরা এই বেঞ্চের ওপর কনফিডেন্স (আস্থা) রাখতে পারছি না।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, এটা তো আপনার মৌখিক বক্তব্য। লিখিত আবেদন তো নেই। ওই আইনজীবী বলেন, মৌখিকভাবে যা বলেছি এটাই আমাদের অবস্থান। আদালত বলেন, প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এই বেঞ্চে পাঠিয়েছেন। আমি ইচ্ছে করলেই তো ফেরত পাঠাতে পারব না। আমাকে একটা আদেশ দিতে হবে। যদি আপনাদের কোনো বক্তব্য থাকে তাহলে প্রধান বিচারপতিকে অবগত করতে পারতেন। এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের কিছু করার ছিল না। সময় অল্প, এ কারণে যা বলার এই আদালতেই বলতে হবে। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল সাংবাদিকদের বলেন, নিয়ম হচ্ছে বিভক্ত আদেশ দেওয়া বেঞ্চের বিচারপতি যিনি থাকেন তার চেয়ে জ্যেষ্ঠ কোনো বিচারপতিকে দিয়ে একক বেঞ্চ গঠন হবে। প্রধান বিচারপতি বুধবার বিচারপতি জেবিএম হাসানকে দিয়ে একক বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। উনি বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের কনিষ্ঠ হওয়ায় আমরা অনাস্থা জানিয়েছিলাম। আদালত লিখিতভাবে আবেদন করতে বলে সোমবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রেখেছে।

অপরদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, একটি বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছে, এটা নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের চেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে দিতে হবে এমন কোনো আইন দেশে নেই। আবেদন খারিজ হবে জেনে উনারা মামলা ঝুলিয়ে রাখার কৌশল হিসেবে এই পন্থা অবলম্বন করেছেন। তবে তৃতীয় বেঞ্চের প্রতি উনারা কোনো অনাস্থা দেননি বলেও দাবি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares