সৌদিতে”করোনা”আক্রান্তে মৃত্যুর মিছিলে তিন বাংলাদেশী।


rafiq প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১, ২০২০, ১৬:০১ / ৩০০
সৌদিতে”করোনা”আক্রান্তে মৃত্যুর মিছিলে তিন বাংলাদেশী।
রফিক চৌধুরী সৌদি আরব প্রতিনিধি——— করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবের মদিনায় তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। যারা মারা গেছেন তারা হলেন- মদিনার একটি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার আফাক হোসেন(৫৮), কোরবান আলী(৫৪) ও মোহাম্মদ হাসান (৩৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আইন সহকারী মুমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা এই পর্যন্ত দুইজন বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জানতে পেরেছি। অপর আর একজন মারা গেছেন শুনেছি কিন্তু আমাদের কাছে এখনও সৌদি হাসপাতাল থেকে কোনো কাগজপত্র আসেনি। যার কারণে বাকি একজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছি না

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবের মদিনায় তিন বাংলাদেশির মৃত্যুর হয়েছে। যারা মারা গেছেন তারা হলেন- মদিনার একটি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার আফাক হোসেন(৫৮), কোরবান আলী(৫৪) ও মোহাম্মদ হাসান (৩৮)।বিষয়টি নিশ্চিত করে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আইন সহকারী মুমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা এই পর্যন্ত দুইজন বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জানতে পেরেছি। অপর আর একজন মারা গেছেন শুনেছি কিন্তু আমাদের কাছে এখনও সৌদি হাসপাতাল থেকে কোনো কাগজপত্র আসেনি। যার কারণে বাকি একজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, আর যে দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছি তাদের মধ্যে একজন ডাক্তার ও অপর একজন মদিনা আল সোলায়মান ফাহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
ডাক্তার আফাক হোসেন সৌদি আরবে মদিনায় সাফা আল মদিনা বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি সৌদি আরবের মদিনা শরীফের আওয়ালির সাথে আল যুযান নামক স্থানে থাকতেন।
ডা: আফাক এক আফগানিস্তানের লোক করোনায় আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের চেম্বারে আসলে উনি তার চিকিৎসা করেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই লোকের মাধ্যমে তার শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে।
ডাক্তার আফাক হোসেন ৩১ মার্চ সকালে মদিনায় একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। ডাক্তার আফাক নড়াইল জেলার সদর থানার আমজাদ হোসেনের ছেলে।
দ্বিতীয় জন কোরবান আলী মদিনার সোলায়মান ফাহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় নিয়ে হাসপাতালে যান পরে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মদিনার আল জাহরা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত কোরাবান আলী ঢাকার সাভার উপজেলার সাদাপুর পূরান গ্রামের রেজাউল করিম এর ছেলে।
কোরবান আলীর বিষয়ে মদিনার আল জাহরা হাসপাতাল থেকে সোমবার বাংলাদেশের জেদ্দা কনস্যুলেটকে জানানো হয়েছে। তবে তার কোনো আত্মীয়স্বজন এখন পর্যন্ত জেদ্দা কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে জেদ্দা কনস্যুলেট উইং একটি চিঠি পাঠিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করেছে। বাংলাদেশ কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
তৃতীয় জন মোহাম্মদ হাসান। তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার, লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকফিরানী দূর্লুবের পাড়ায়। তিনি ওই এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে।
মৃত মোহাম্মদ হাসানের ছোট ভাই মোহাম্মদ হেলাল খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, আমার বড় ভাই মদিনা আল তাইবা মার্কেটে কাজ করতেন। করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকায় তিনি তার বন্ধুর বাসায় মদিনা থেকে একটু দূরে খামারে বেড়াতে যান সেখানে সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ভর্তির তিন দিন পর করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকেন তিনি। কিন্তু গত ছয় দিন থেকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি, তারপর শুনলাম গতকাল মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মদিনার একটি সরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৬৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬৫ জন।
ব্রেকিং নিউজ :
Shares