সৌদিআরবে গলায় ফাঁস দিয়ে মদিনা ও জেদ্দায় দুই  প্রবাসীর আত্মহত্যা।


rafiq প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২০, ০৮:১৯ / ৩০৪
সৌদিআরবে গলায় ফাঁস দিয়ে মদিনা ও জেদ্দায় দুই  প্রবাসীর আত্মহত্যা।

সৌদিআরবে গলায় ফাঁস দিয়ে মদিনা ও জেদ্দায় দুই  প্রবাসীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার শামিম আহম্মেদ সৌদিআরবের মদিনা ও জেদ্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে দুইজন রেমিটেন্স যোদ্ধার আত্মহত্যা করেছেন। গত ২৯শে জানুয়ারী বুধবার জেদ্দার হাই আল চবিল এলাকায় বাসার বারান্দায় ঘরের ছাঁদের খুঁটির সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে রুহুল আমিন(৩৭) নামে এক বাংলাদেশী আত্মহত্যা করেছেন। রুহুল আমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞারামপুর থানার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত্যু আব্দুল আউয়াল এর একমাত্র সন্তান।

এই দিকে ৩১শে জানুয়ারী শুক্রবার পবিত্র মদিনা মানোয়ার পাশ্বে আমবরিয়া নামক জায়গায় নিজ বাসায় ভিতরে গলায় ফাঁস দিয়ে কাশেম (২৬) নামে আর এক বাংলাদেশী আত্মহত্যা করেছেন। কাশেম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছির নগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের নরহা গ্রামের ফুল মিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রুহুল আমিন তিন বছর আগে সৌদিআরবের আল বাহা নামক এলাকায় কপিলের কাজের ৬০০ টাকা বেতনের ভিসায় আসেন । গত কিছুদিন আগে ছুটি থেকে ফিরে কপিল এর কাজে যোগদান করেন কিন্তু দুই মাস বেতন পাইনি সেই । কপিলকে একামা নবায়ন করতে বললে কপিল একামা ও নবায়ন করেনি বলে জানিয়েছেন রুহুল আমিনের বউ এর চাচাতো ভাই বেলাল হোসেন।

বেলাল হোসেন আরোও জানান, রুহুল আমিন চাকরি খোঁজে জেদ্দায় এক সাপ্তাহ আগে আসেন, তার জন্য দুই তিন জায়গায় চাকরিও ঠিক করেন, কয়েক দিন আমাদের সাথে কাজও করেন বেশ হাসি খুশীতে ছিল সেই। আমরা এক রুমে পাঁচজন থাকতাম সবার সাথে আন্তরিক ছিল সবসময় কিন্তু যেদিন চাকরি যাবে সেই দিন আমরা দোকান খোলার জন্য রুম থেকে সবাই বাহিরে চলে আসি, আসার সময় রুহুল আমিন কে নাস্তা করেতে বলে আসি। দুপুরে আমরা যখন খেতে যায় তখন ঘরের বাহিরে ছাঁদের একটি কুটির সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আছে রুহুল । সেই হঠাৎ এইভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে আমরা ভাবতেই পারি নাই।

রুহুল আমিন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে জানিয়েছেন রুহুল আমিনের বউ এর বড়ো ভাই জহিরুল ইসলাম স্বপ্ন। স্বপ্ন আরোও জানান দেশে থাকতে এর আগেও রুহুল আমিন দুই তিন বার বিষ ও ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।

রুহুল আমিন এর বউ তসলিমার সাথে কথা হলে তিনি জানান, মারা যাওয়ার আগের দিন আমাকে ফোন দিয়ে রাগ করছে সেই, আমি কেন একা একা আমাদের বাগানের গাছে মাটি দিচ্ছি কেন লোক দিলাম না। রুহুল আমিন যে এইভাবে আমাদের নিঃস্ব করে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের রেখে চলে যাবে আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।

তসলিমা আরোও জানান, রুহুল আমিন মানসিক অসুস্থ ছিল দেশে অনেক কবিরাজ দেখিয়েছেন এবং ভালো হয়ে বিদেশে গেছেন। পারিবারিক কোন সমস্যা আছে কি না জানতে চাইলে তসলিমা জানান, আমার দুই ছেলে এক মেয়ে আমার শ্বশুর শ্বশুরী কেউ নেই। আমাদের মোটামুটি চলে যাচ্ছিল সংসার কিন্তু রুহুল আমিন আমাদের অসহায় করে চলে গেল।

এই দিকে মদিনায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করা কাশেম এর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, গত ৩১-জানুৃয়ারী শুক্রবার দিবাগত রাতের শেষ সময়ে ইকামা সমস্যা, আর্থিক সমস্যা ও পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করেন বাসার আশেপাশে থাকা প্রত্যেকদর্শীরা।

কাশেম মদিনায় সোফার দোকানে টেকনিশিয়ান হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন কাশেম অসুস্থ থাকায় নিজ কক্ষে অবস্থান করছিল। সৌদি আরবে ইকামা সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থনৈতিক জটিলতায় ভুগছিল জানান তারা ।

বর্তমানে আত্মহত্যাকারীর লাশ জেদ্দা ও মদিনা মানোয়ার থানা পুলিশের অধীনে সৌদি সরকারি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares