সঙ্গীত শিল্পীরা টাকা না দিলে লাইভ করবে না এমন সিদ্ধান্তে হতবাক সংগীত আয়োজকরা


rafiq প্রকাশের সময় : জুন ২৬, ২০২০, ০৯:৪১ / ৯৯২
সঙ্গীত শিল্পীরা টাকা না দিলে লাইভ করবে না এমন সিদ্ধান্তে হতবাক সংগীত আয়োজকরা

বিডি সংবাদ একাত্তর ডেস্ক করোনা ভাইরাসের কারণে সারা পৃথিবী যখন থমকে গেছে। তখন মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য একটাই মাত্র পথ খোলা আছে সেটা হল অনলাইনে লাইভ আড্ডা। সে অনলাইনে অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারী সৌদিআরবের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছাব্যান্ডের কর্নধার জনাব আজিজুল হক মিলনের মনের কথাগুলো এখানে তুলে ধরা হলো।

শিল্পীরা টাকা না দিলে লাইভ করবেন না….. ফেইসবুকে এমন পোষ্ট দেখে আমরা প্রবাসীরা বিচলিত না হয়ে পারলাম না, জুবায়ের নামের এক ভাই লিখেছেন আগে শিল্পী বাচলে মানুষ বাচবে, আমরা এই কথাটি মানতে রাজি না ভাই, মানুষ বাচলে শিল্পী বাচবে এই কথাটি যেমন সত্যি ঠিক তেমনি আজ আমরা প্রবাসী ভাইয়েরা মৃত্যুর মুখোমুখি দাড়িয়ে আছি,যদি এই মুহুর্তে আমরা কেউ মারা যাই তখন কেউ জানাযা পড়ার বা মাটি দেবার জন্য আসবে না, কিন্তু আপনাদের মত শিল্পীদের কেউ না কেউ আপনজন এসে আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। আজ যে লাইভ প্রোগ্রাম এর কথা উঠেছে সেটা দেশের প্রোগ্রাম এর বেলায় আপনাদের সাথে আমরা এক মত পোষন করছি, কিন্তু দেশের বাহিরে প্রবাসীদের বেলায় আপনাদের এই সিদ্ধান্তের আমরা প্রবাশীরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই, আমাদের প্রবাসের এই লাইভ প্রোগ্রাম নিয়ে বলতে গেলে বলবো যে আমরা পরিবার পরিজন ছেড়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে টাকা পাঠাই সেই টাকা দিয়ে আপনারা যেমন চলেন তেমনি পুরো বাংলাদেশ চলে, যেখানে আজ দীর্ঘ চার মাসের মত আমরা লক ডাউনে আছি সেখানে আমরা মরনবেধি করোনার সাথে পাঞ্জা লড়ে কেউ বেঁচে আছি কেউ বা না ফেরার দেশে চলে গেছেন, আবার কেউ বা মরনের কথা ভাবছেন এর ভিতরে আমাদের কে মানুষিক ভাবে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনাদের, এবং আমাদের কে অনুপ্রেরণা জোগানো আপনাদের উচিত।আমরা প্রবাশীরা যদি বেচেঁ থাকি তা হলে যেমন আমাদের দেশ বাচঁবে তেমনি আপনারা ও বাচঁবেন আমাদের যদি এই মুহূর্তে আয় রোজগার থাকতো তা হলে আপনাদের সাহায্য করা কোন ব্যাপার ছিলো না, আমরা প্রবাস থেকে যে লাইভ প্রোগ্রাম গুলি করি সেখানে কোন লেন দেন নাই বা হয় না।পুরা প্রোগ্রামটি স্পন্সর বলেন বা মিডিয়া পাটনার বলেন সবই বিনা পয়সায় করে থাকি। আমাদের এই বিপদের সময় মৃৃত্যুকে যেন ভুলে থাকতে পারি সেই জন্য ক্ষনিকের আনন্দ দিয়ে প্রবাশী ভাইদের মনকে ভালো রাখার জন্য আপনাদের মতো কিছু শিল্পীদের এনে আমাদের লাইভ প্রোগ্রাম করানোর ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আপনারা তো সারা বছর অর্থের বিনিময়ে গান করে থাকেন কিন্তু এই মহামারি করোনার সময় ১ঘন্টা অতিবাহিত করলে কি এমন ক্ষতি হবে আপনাদের? আজ এই করোনার ভীতরে আপনারা কি করে বলতে পারলেন টাকা ছাড়া ফেইসবুক লাইভে আসবেন না?সত্যি আজ ভাবতে বড় অবাক লাগছে। হায়রে মানবতা কোথায় গেল আপনাদের বিবেক? যদি কেউ লাইভ করে অর্থ উপার্জন করে তাদের কে সরাসরি আপনারা বলতে পারেন, তাই বলে সবার কাছে একি রকম বলা ঠিক না। একটা কথা মনে রাখবেন “টাকা পয়সা দুই দিন ভালোবাসা চির দিন” এই মুহূর্তে একটি গানের কথা মনে পড়ে গেল, “একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর ও মণ আমার কেন বান্ধো দালান ঘর ” আজ আপনি যে বাচঁবেন তার কোন নিচ্চয়তা আছে? তাই বলছি মানবিক দৃষ্টি দিয়ে ব্যাপার গুলি সবাই দেখবেন আজ আপনারা যদি কারোর বিপদে এগিয়ে আসেন তা হলে আপনাদের বিপদেও কেউ না কেউ পাশে এসে দাড়াবে। শিল্পীরা সুধু না পুরো পৃথিবী আজ থমকে গেছে। আমরা সবাই একি পথের পথিক সুতরাং কে কাকে সাহায্য করবে বলেন?এই বিপদের সময় আপনারা ফেইসবুক লাইভ করে পারেন বা অর্থ দিয়ে পারেন দয়া করে সবাই সবার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। আপনাদের এই শিল্পী সমিতি বা দলা দলি বর্জন করেন নিজে বাঁচলে বাপের নাম। আমরা প্রবাশীরা আমেরিকা, জার্মানি, জাপান, ইটালি, ফ্রান্স, কানাডা, সৌদি আরব, বাহরাইন, দুবাই, ওমান,সিংগাপুর,মালোয়েশিয়া,যে যেখান থেকে এই লাইভ প্রোগ্রাম করে থাকেন এই দুঃসময় আপনারা যদি আমাদের পাশে এসে না দাঁড়ান তা হলে আমরা প্রবাশীরা ও ঐক্য বদ্য হয়ে আমরা ও সিদ্বান্ত নিতে বাধ্য হবো। যে শিল্পীরা আমাদের ডাকে সারা না দিবেন তাদের কে আমরা কোনো দেশেয় কনসার্ট করতে আমন্ত্রণ জানাবো না। আর একটা কথা না বলে পারছিনা শিল্পীরা যখন কোন বিপদে পড়ে তখন আমরা প্রবাশীরাই সবার আগে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেই।আপনারা আগে নিজেরা নিজেদের কে সাহায্য করতে শিখুন তার পর না হয় এমন শিল্পী জোট তৈরি করেন। আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি যে পপ সম্রাট আজম খাঁন, আব্দুল জাব্বার, ছাড়া আরও অনেক শিল্পীরা কেন আজ তারা টাকার অভাবে এবং ভালো চিকিৎসার অভাবে মারা গেলো?তখন আপনার সবাই কোথায় চিলেন?কোথায় চিল আপনাদের জোট? তখন যদি আপনারা সবাই মিলে মিশে বাংলাদেশের সব জেলায় একটি করে কনসার্ট করতেন তা হলে শিল্পীদের চিকিৎসা করেও টাকা রাখার জায়গা থাকতোনা। আজ এন্ড্রু কিশোর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। কই কয়জন তাকে দেখতে গিয়েছেন বা সাহায্য করেছেন? আমাদের কথা গুলি গোভীর ভাবে চিন্তা করলে সব উওর পেয়ে যাবেন। দুঃখীত আমরা কাউকে মনে কষ্ট দিয়ে লেখার জন্য লিখিনি, নিজেদের বিবেকের কাছে আপনাদের জোটের কথা শুনে খারাপ লেগেছে বলে আজ আমরা দুই কথা লিখতে বাধ্য হোলাম। আমাদের এই লিখাতে যদি কেউ মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন।

আজ আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম…???????
সকল প্রবাসী ভাইদের পক্ষ থেকে।
মোঃ আজিজুল হক মিলন
সৌদি আরব জেদ্দা প্রবাসী।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares