শোংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্য বুঝিনা,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


rafiq প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২০, ২০২০, ০৫:১৯ / ২৩৮
শোংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্য বুঝিনা,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিডিসংবাদএকাত্তর ডেস্ক 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারত সরকারের উদ্দেশ্য কি  তা বোঝা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে গালফ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। শেখ হাসিনা বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে ভারত সরকারের উদ্দেশ্য কী, তা বুঝতে পারছি না। কেন ভারত সরকার এটা করল। এটার প্রয়োজন ছিল না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে পাড়ি দেয়া কেউ বাংলাদেশে ফিরে এসেছে, এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে ভারতে তাদের অনেকে সমস্যার মধ্যে আছেন। তিনি আরও বলেন, তারপরও এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ সব সময়ই সিএএ এবং এনআরসিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে আসছে। ‘ভারত সরকারও সব সময় তাদের পক্ষ থেকে বলে আসছে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ব্যক্তিগতভাবে গত বছরের অক্টোবর মাসে নয়াদিল্লি সফরকালে আমাকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।’ গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাস হয়। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি ও খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে এই আইন সংশোধন করে ভারত। বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। আইনটি বাতিলের দাবিতে ভারতজুড়ে এখনও বিক্ষোভ চলমান। এতে বেকায়দায় রয়েছে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। শেখ হাসিনার মতে, যেকোনো বৃহত্তর ক্ষেত্র বিবেচনায় বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে। সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, এই সমস্যার শুরুটা যেহেতু মিয়ানমারে, সেহেতু তাদেরই সমাধান করতে হবে। মিয়ানমারে নিপীড়নের স্বীকার হয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের ফেরতের উদ্যোগ নেয়া হলেও নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা থেকে তারা ফিরতে চাইছে না। প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের অবসান না হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে। বাংলাদেশ কয়লা বিদ্যুতের দিকে মনোযোগ বাড়ালেও এক্ষেত্রে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ এতদিন গ্যাসের উপর নির্ভর করত। কিন্তু গ্যাস ফুরিয়ে আসায় উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে এখন কয়লাসহ অন্য উৎসের দিকে নজর দিতে হচ্ছে। বিশাল জনসংখ্যার দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চাপ বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরেই সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কীভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন, তাও গালফ নিউজকে তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares