অভিযান
||জসিম মাহমুদ||
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ এবং সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে মাঠে কাজ করছে চট্টগ্রাম র্যাব-০৭ এর ৬৯টি টহল টিম।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসন এবং তিন পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রাম র্যাব-০৭ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা চট্টগ্রাম, ফেনি ও কক্সবাজার জেলার সর্বমোট ২৬টি আসনে যে কোন ধরনের সহিংসতা এড়াতে র্যাব জোড়দার টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি সন্দেহজনক ব্যাক্তি ও যানবাহনে ব্যাপক তল্লাসী অভিযান শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম র্যাব-০৭ এর মিডিয়া বিভাগ সূত্রে জানা যায়, র্যাব-০৭ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সবধরনের নাশকতা ধমনের লক্ষ্যে ৬৯ টি টহলে সর্বমোট ৫৮৬ জন র্যাব সদস্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়াও তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন এলাকায় সাদা পোষাকে র্যাব সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশী করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে র্যাবের তল্লাশী চলমান রয়েছে যাতে কোন বহিরাগত সন্ত্রাসী বা নাশকতাকারী আবাসিক হোটেলগুলোতে অবস্থান করে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।
র্যাব জানায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে জনমনে আস্থা তৈরি এবং নির্বাচনী পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এ ধরণের বিশেষ টহল ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই টহল চলমান থাকবে।
জনমনে স্বস্তির জন্য র্যাব-০৭, চট্টগ্রামের স্থায়ী ক্যাম্পগুলোর পাশাপাশি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার স্পর্শকাতর বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত ৭টি অস্থায়ী ক্যাম্প (চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, সীতাকুন্ড, রাঙ্গুনিয়া, লোহাগড়া, বাঁশখালী ও কক্সবাজারের মহেশখালী) স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের গুজবে কান না দিতে জনগনকে উৎসাহ প্রদানসহ র্যাবকে তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাবের মোবাইল নম্বর সম্বলিত পোস্টার লাগানো হয়েছে।
র্যাব’র টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি নির্বাচনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারে জন্য র্যাব-৭ এর আভিযানিক কার্যক্রমও চলমান রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :