ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আমরাই জিতব সবাইকে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান , সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন


rafiq প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮, ২১:৪৬ / ২১৫
ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আমরাই জিতব সবাইকে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান , সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন

রফিক চৌধুরী —————-জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা, আমরা বিশ্বাস করি, অবশ্যই আমরা জিতব। জনগণ আমাদের পক্ষে আছেন। তারা নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে ধানের শীষের বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। সবাই এখন পরিবর্তন পরিবর্তন করে চিৎকার করছে। নির্বাচনে আমরাই জিতব যদি কোনো দুই নম্বরি না হয়। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভোটারদের সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন।
ভোটারদের উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, আপনারা সকাল সকল কেন্দ্রে যান, ভোট দিন। আপনারা ভয় পাবেন না, আপনারা গেলে দুর্বৃত্তরাই পালিয়ে যাবে। জনগণের শক্তির সাথে তারা পারবে না। সংবাদ সম্মেলনে তরুণদের উদ্দেশ্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, তোমরা তরুণরা যারা প্রথমবার ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছ, তারা সময়মতো ভোট দিতে যাবে। মনে রাখবে, যদি তুমি ভয় পাও তবেই তুমি শেষ, যদি তুমি ঘুরে দাঁড়াও, তবে তুমিই বাংলাদেশ।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশের সব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসারসহ ভোটগ্রহণের দায়িত্বে যারা আছেন তাদের উদ্দেশ্যে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, আপনার ওপর যে দায়িত্ব তা সততার সঙ্গে পালন করবেন। এটা করলে আপনাদের সম্মান বাড়বে। ভোটারের মুখের হাসির ওপরই নির্ভর করছে আপনার দায়িত্ব পালনে সফলতা ও তৃপ্তি। আপনি যদি কারও অধিকার হরণ করেন, তাহলে মনে রাখবেন অন্য কেউ আপনার মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তানের অধিকার হরণ করছে। এটা করলে জনগণ, ইতিহাস ও আইন আপনাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার, ভিডিপি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জড়িতদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা অতীতের মতো গৌরবময় ভূমিকা পালন করুন। বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষায় আপনাদের ভূমিকা প্রশংসিত হচ্ছে। সে প্রশংসার ফলে সারা বিশ্বে আপনাদের সুযোগ বেড়েছে। কোনো অবস্থাতেই তা যাতে ব্যাহত না হয়, সে ব্যাপারে আপনারা সতর্ক থাকবেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলব, আপনারা কোনো দলের নন, জনগণের সেবক। জনগণ দেশের মালিক, দেশের মালিকদের তাদের ভোটের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করবেন না। কোনো অন্যায় নির্দেশ মানবেন না।
গণফোরামের সভাপতি বলেন, প্রবাসী ভাই-বোনেরা এবং নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যারা ভোট দিতে পারবেন না আপনারা আপনাদের স্বজনদের ফোন করে ভোট দিতে যেতে বলুন। তারা যদি ভোট দিতে পারেন সে আনন্দের অংশীদার আপনিও হবেন।
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি-না, আপনি কী মনে করছেন- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, সারাদেশে আইনশৃংখলা বাহিনী ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের নজিরবিহীন গ্রেফতার করছে। তারপরও আমরা এখনো আশা করি তারা নির্বাচনের দিন নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ করে দেশের গর্ব সেনাবাহিনী নির্বাচনে সব রকম অনিয়ম প্রতিহত করবে। তারা জনগণকে নিরাপদে ভোট প্রদানের সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এটা আমরা বিশ্বাস করি।
আপনাদের পার্টির অফিস রেখে কেন ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন করছেন, আপনাদের (ঐক্যফ্রন্ট) মধ্যে ঐক্যের ঘাটতি আছে কি না সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল হোসেন বলেন, এই হল নেয়াটা কোনোভাবে প্রমাণ করে না যে, আমাদের মধ্যে ঐক্য নেই। কোথাও বড় হল না পেয়ে এখানে এসেছি। আমাদের মধ্যে এখন ঐক্য আরও সুসংহত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, গত ৮নভেম্বরের পর এ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের ১১,৫০৬ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। মামলা হয়েছে ৯৫৭ টি। নির্বাচনী প্রচারে হামলা হয়েছে ২৮৯৬টি এতে নিহত হয়েছে ৯জন এবং আহত হয়েছে ১৩২৫২ জন। ১৭ জন প্রার্থী কারাগারে আছেন। এ পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে আছি এবং থাকবো। এটাকে আমরা গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি। জনগণ এ আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। আমরা আশা করি জনগণ নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট দিয়ে ঐক্যের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক ধানের শীষকে বিজয়ী করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।
এরপর নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন ড. কামাল হোসেন । নির্বাচনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে বিদেশী সাংবাদিকদের প্রতি তিনি আহবান জানিয়েছেন। ড. কামাল বলেন, নির্বাচনে যে পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে এমনটি অতীতে আর হয়নি। যারা বিদেশ থেকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঢাকায় এসেছেন তারা যেন ভোটের প্রকৃত চিত্র তোলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের ভোটাররা ভোট প্রদানের জন্য উদগ্রিব হয়ে আছে। দেশের ৯৯ ভাগ মানুষ পরিবর্তন চান। আর এক ভাগ আছেন যারা সুবিধাভোগী

ব্রেকিং নিউজ :
Shares