বৈশ্বিক করোনার কারণে হজ্জ নিয়ে সংশয়,সৌদিতে দুর্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা


rafiq প্রকাশের সময় : জুন ১৫, ২০২০, ২০:৪৯ / ২৪৩
বৈশ্বিক করোনার কারণে হজ্জ নিয়ে সংশয়,সৌদিতে দুর্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের আগ্রাসী চোবল থাবা বসিয়েছে সৌদি আরবের মক্কায় বসবাসরত বাংলাদেশী হোটেল ব্যবসায়ী, ট্রভেল এজেন্সি ও সাধারণ প্রবাসীদের উপর। সৌদি আরবে বর্তসানে কিছু টা কর্মচাঞ্চল্য ফিরলেও বন্ধ রয়েছে পবিত্র মক্কা মদিনার আবাসিক হোটেল এবং রেষ্টুরেন্টসহ সব ধরনে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এই শহর গুলো ব্যবসায়ীক কর্মকান্ড গুলো মূলত হজ্জ এবং উমরাহকে কেন্দ্র করে।

মক্কায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো এখন লোকসানের মুখে পড়েছে। অথচ পবিত্র মক্কা নগরী প্রতি বছর এই সময় হাজীদের পদচারণায় মুখর থাকে। কিন্তু এই বছর চার দিক সুমসাম নীরবতা। এই মাসটা ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর করোনার প্রাদুর্ভাবের জন্য এই সময়টা সবাই ঘরবন্দী হয়ে বসে আছে। এই বন্দী সময়ে পরিবারে ভরনপোষণ দোকান ভাড়াও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বাতা নিয়ে খুবই দুর্বিসহ সময় পার করছেন এখানকার বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা।

আমরা এখানে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা ও ব্যবসায়ী জনাব হাজী কামাল খাঁনের সাথে কথা বলে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দুর্বস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন বছরে এই সময় আমাদের ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময় আর এই সময় আমরা এখন ঘর বন্দী হয়ে বসে আছি। বাংলাদেশ কমিউনিটির অপর নেতা ব্যবসায়ী জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক তিনি এই দুর্যোগপূর্ণ সময় বেকার প্রবাসীদের ত্রান সহায়তা দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানের তার হোটেল ব্যবসা বন্ধ অবস্থা। মক্কায় মুলতা পবিত্র হজ্জ এবং ওমরাকে কেন্দ্র করেই ব্যবসা বানিজ্য জমজমাট হয়।

এই বছর এখন পর্যন্ত হজ্জ নিয়ে এখনো অনিশ্চিয়তা কাটেনি। তাই এই নিয়ে দুর্চিন্তার কমতি নেই সকল ব্যবসায়ীদের মনে। এই অবস্থা সৌদতেবসবাসরত বাংলাদেশ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এইদিকে সৌদি সরকার এখনো হজ্জ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষনা দেননি। হয় তো কিছু দিনের মধ্যে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কোন ঘোষনা আসতে পারে। তবর এই মধ্যে বেশ কিছু রাষ্ট্র এবছর হজ্জে তাদের নাগরিক না পাঠানোর বিষয় জানিয়েছেন। তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, বুনাই ইত্যাদি।

একই সাথে মক্কায় কয়েকজন সাধারণ প্রবাসী সাথে কথা বললে তারা বলেন বর্তমানে সৌদি আরবে চাকরির বাজার ভালো না, সহজে কাজের সন্ধ্যান পাওয়া চাচ্ছে না। মক্কা এবং মদিনা শুধু আবাসিক হোটেল গুলোতে চাকরি করে কয়েক হাজার প্রবাসী বর্তমানের হোটেল গুলো বন্ধ। অনেকের ইকামার মেয়ে শেষ হয়ে গেছে। টাকা জন্য ইকামার মেয়াদ বাড়াতে পারছে না।প্রতিবছর হজ্জে দেশে করবানের জন্য পরিবার আত্মীয়-স্বজনকে টাকা পাঠাতাম, এবার বাড়িতে টাকা দিতে পারছি না।

বর্তমানে লকডাউনের কারণে বাসায় সাড়ে ৩ মাস ধরে বন্দি হয়ে আছি। অনেকেই খেয়ে না খেয়ে দিন করছি। এমন পরিস্থিতিতে যে পড়তে হবে- তা আমরা কোনোদিন ভাবিনি। একই সুরে কথা বলেন একাদিক প্রবাসী ভাইয়েরা। এ ব্যাপারে সবাই বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares