বৃষ্টি নেই আছে কান্না-বনানী ট্র্যাজিডি।


rafiq প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৪, ২০১৯, ০৪:৫৩ / ২৬৩
বৃষ্টি নেই আছে কান্না-বনানী ট্র্যাজিডি।

বিশেষ সংবাদ দাতা আমাদের স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক হতে পারছি না। আমাদের প্রাচুর্য নেই কিন্তু বিরাট সুখ ছিল’। গতকাল বুধবার সকালে দৈনিক ইনকিলাবের যশোর ব্যুরো অফিসে এসে কান্নাজড়িত কন্ঠে এসব কথা বলেন যশোর শহরের কাজীপাড়ার শেখ ইরাদুল নূর। তিনি রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে আগুন লেগে নিহত শেখ জারিন তাসনিম বৃষ্টির শ্বশুর।
ইরাদুলের ছেলে কাজী শাদ নূর স্ত্রী শেখ জারিন তাসনিম বৃষ্টিকে হারিয়ে নির্বাক। দু’টি পরিবারের কান্না থামছে না। কেউই স্বাভাবিক হতে পারছেন না। চাকরির কারণে ঢাকায় থাকলেও বৃষ্টি ও নূর দুই পরিবারের সাথে প্রায় প্রতিদিনই কথা বলতেন। প্রাণবন্ত মেয়েটি সারাদিন বাসা মাতিয়ে রাখতেন। সেসব কথা মনে পড়ছে আর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন সবাই। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টির ব্যাপক উপস্থিতি ছিল ফেসবুকে। গত ১১ মার্চ স্বামীর সঙ্গে ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘চলো না দীঘার সৈকত ছেড়ে ঝাউবনে। ছায়ায় ছায়ায়…শুরু হোক পথচলা। শুরু হোক কথা বলা…।’ নাহ এফ আর টাওয়ার ফেসবুকে বৃষ্টির কথাগুলোকে মিথ্যে করে দিয়েছে। আর কোনদিন কথা বলবেন না বৃষ্টি।
ইরাদুল নূর জানান, বৃষ্টি এফ আর টাওয়ারের ১২ তলায় ইউরো সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ বিভাগে চাকরি করতেন। মার্চের ২৮তারিখ বৃহস্পতিবার টাওয়ারে আগুন লাগার পর তিনি দ্রæত স্বামী কাজী শাদ নূরকে মোবাইল ফোন দিয়ে ঘটনার কথা জানান। স্বামী তাকে ছাদে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বৃষ্টির জবাব ছিল, ধোঁয়ায় কোন দিকে যাওয়া যাচ্ছে না। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ওই কয়েকটি শব্দই ছিল শেষ কথা। এরপর থেকে বৃষ্টির ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বৃষ্টির পিতার বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়া বনানী সড়কে। পিতা শেখ মুজাহিদুল ইসলাম মোটর পার্টস ব্যবসায়ী। কাজী শাদ নূর ঢাকার খিলক্ষেতে হোটেল রিজেন্সিতে সহকারি ব্যবস্থাপক পদে চাকরি করেন। স্বামী-স্ত্রী থাকতেন খিলক্ষেতেই। বৃষ্টির এমন চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না দুই পরিবারের কেউই। বিশেষ করে তার মা নিনা ইসলামের কান্না যেন থামতে চাইছে না। তার দুই মেয়ের মধ্যে বৃষ্টি ছিল ছোট।

সূূত্র ইনকিলাব

ব্রেকিং নিউজ :
Shares