বাস্তবে রূপ নিচ্ছে স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল, নান্দনিকতায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে, চট্টগ্রাম


rafiq প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২২, ২০১৯, ০৩:৩৭ / ২৫৩
বাস্তবে রূপ নিচ্ছে স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল, নান্দনিকতায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে, চট্টগ্রাম

বাস্তবে রূপ নিচ্ছে স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল,পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম————-রফিক চৌধুরী—-শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম সড়কপথ ‘কর্ণফুলী টানেলকে’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন। চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রস্তাবটি রেখেছেন।

নির্বাচনের পর গঠিত মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সোমবার (২১ জানুয়ারি) । এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । প্রথম সভায় মন্ত্রিসভায় সদস্যরা প্রত্যেকে নিজেদের পরিচয় এবং বক্তব্য তুলে ধরেন।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নিজের পরিচয় পর্ব শেষ করার পর কর্ণফুলী টানেলের প্রসঙ্গ আনেন। তিনি এই টানেলের নাম বঙ্গবন্ধুর নামে করার প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যেহেতু দেশে এই প্রথম কোন টানেল নির্মিত হচ্ছে এবং চট্টগ্রামে যেহেতু সর্বসাধারণের ব্যবহারযোগ্য তেমন কোন বড় স্থাপনা নেই, তাই টানেলটি বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা যেতে পারে। দেশের প্রথম বৃহত্তম বহুমুখী সেতু যমুনা সেতু বঙ্গবন্ধুর নামে করার প্রসঙ্গও যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেন মন্ত্রিসভার তরুণ এই সদস্য।

নওফেলের বক্তব্যে সমর্থন জানান চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত আরেক সংসদ সদস্য ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া ড. হাছান মাহমুদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের বক্তব্য গ্রহণ করেন এবং দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে এই বক্তব্য রেকর্ডে রাখার নির্দেশনা দেন।

নওফেলের বক্তব্যের সূত্র ধরে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া সিলেট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রবাসি কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদও সিলেটে বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ বঙ্গবন্ধুর নামে করার প্রস্তাব তুলে ধরেন বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।

২০০৮ সালে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে এক জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গেলে কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম নদীর তলদেশে সড়ক টানেল নির্মাণ করছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এরই মধ্যে চীন অর্থায়ন করছে প্রায় চার হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দিচ্ছে।

২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর কর্ণফুলী নদীর নেভাল একাডেমি অংশ থেকে অপর পাশে আনোয়ারা প্রান্ত পর্যন্ত সোয়া তিন কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের কাজ এগিয়ে চলছে। এখানেই নদীর তলদেশের ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে টানেল। এরই মধ্যে প্রকল্পের ২৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২২ সাল নাগাদ টানেল নির্মাণ শেষে গাড়ি চলাচল শুরু হবে

ব্রেকিং নিউজ :
Shares