প্রতিবন্ধী হোটেল শ্রমিককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন।


rafiq প্রকাশের সময় : জুন ৯, ২০২০, ২১:২৯ / ৩৩৬
প্রতিবন্ধী হোটেল শ্রমিককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন।
  1. প্রতিবন্ধী হোটেল শ্রমিককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন।

    সষ্টাফ রিপোর্টারঃ রংপুর নগরীর মডার্ণ মোড়ে বাবু মিয়া (২৪) নামে এক প্রতিবন্ধী হোটেল শ্রমিককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে আজাদ হোটেলের মালিক আনছার আলী ও তার ছেলে আজাদ মিয়া।

    নির্যাতিত বাবু লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।

    স্থানীয়রা জানায়,বাবু দীর্ঘদিন ধরে মডার্ণ মোড়ের শাহীন হোটেলে কাজ করত। কিন্ত করোনার কারণে শাহীন হোটেল বন্ধ থাকায় আজাদ হোটেলে কাজ শুরু করে। কিছুদিন পর আজাদ হোটেলও বন্ধ হয়ে যায়। তখন বাবু হোটেলের মালিক আনছার আলীকে সবকিছু ঠিকঠাক আছে দেখিয়ে হোটেলের চাবি বুঝিয়ে দেয়।

    পরবর্তীতে সীমিত পরিসরে লকডাউন শিথিল হওয়ায় শাহিন হোটেল খুললে বাবু পূণরায় সেখানে কাজ শুরু করে। এর পর সব দোকানপাট খোলা শুরু হলে আনছার আলী তার হোটেল খুলে লোকজনকে জানায় যে, তার হোটেল চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে সে তাজহাট থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করে।

    এক পর্যায় গত ০৮/০৬/২০২০ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে আনছার আলী ও তার ছেলে আজাদ মিলে শাহীন হোটেলের সামন থেকে বাবুকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর বাবুর হাতপা বেঁধে আনছার আলী ও তার ছেলে আজাদ লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে তাকে। বাবু হাতপা ধরে ক্ষমা চায় এবং বলে আমি চুরি করিনি। কিন্তু তবুও থেমে ছিল না এই নির্যাতনকারীরা। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে বিভিন্ন কায়দায় পেটাতে থাকে বাবুকে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় তারা বাবুকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে লোহার পাইপ দিয়ে পেটায় এরপর রড গরম করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাক দেয় এতে বাবুর পা যখম হয় ও ডান হাত ভেঙ্গে যায়।

    পরে স্থানীয় জনগন ও পুলিশ আহত অবস্থায় বাবুকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভার্তি করায়।

    এ বিষয়ে রংপুর জেলা হোটেল ও রেস্তেরা শ্রমিক লীগের সভাপতি সমসের আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানায় আমরা তাজহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেই সাথে এই বর্বর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নির্যাতনকারীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

    এ ব্যাপারে তাজহাট থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রোকোনুজ্জামানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নাই।

    তাজহাট থানার এসআই মামুন জানায় আমি ঘটস্থলে গিয়ে বাবুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেই। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আজাদ হোটেলের মালিক আনছার আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান পুলিশ আমাদের অভিযোগের গুরুত্ব দিলে আমাদের মালামাল উদ্ধার হত এবং আমাদেরকে আইন হাতে তুলে নিতে হত না।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares