ত্রিপুরা কিছু চাইলে না করতে পারি না-সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


rafiq প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১০, ২০১৯, ০৪:২৩ / ১৯৭
ত্রিপুরা কিছু চাইলে না করতে পারি না-সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিডি সংবাদ একাত্তর ডেস্ক  বাংলাদেশের কোন স্বার্থ বিক্রি করবে এটা কখনো শেখ হাসিনা হতে দিতে পারে না। গতকাল গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ়তার সঙ্গে এই উক্তি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যারা এখন গ্যাস বিক্রি নিয়ে কথা বলে তারাই ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েছিল। ভারতের ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহার ও এলপিজি গ্যাস রপ্তানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এলপিজি রপ্তানি নিয়ে প্রশ্ন করার কিছু নেই। ফেনী নদীর পানি ভারতকে দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, ত্রিপুরা কিছু চাইলে না করতে পারি না। একাত্তরে ত্রিপুরা আমাদের আশ্রয় দিয়েছে, খাবার দিয়েছে।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ ও দিল্লি সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী তার সফর ও সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে বক্তব্য রাখেন। অতপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেব। সাংবাদিকদের দিক থেকে ঘুরে ফিরে আবরার হত্যা নিয়েই প্রশ্ন এসেছে। সরকার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সামরিক স্বৈরাচারদের মানসিকতা। সার্বিকভাবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত সরকার নিবে না। বুয়েটের আবরার হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কে ছাত্রলীগ বা কী জানি না, অপরাধী অপরাধীই, বিচার হবে। তিনি ক্যাসিনো কান্ড, চলমান শুদ্ধি অভিযান, পোর্ট, সংবাদকর্মীদের ওয়েজবোর্ড, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

ভারতে এলপিজি গ্যাস রফতানি
ভারতে এলপিজি গ্যাস রফতানি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিদেশ থেকে এলপিজি গ্যাস এনে প্রক্রিয়াজাত করে ভারতে রপ্তানি করবো। এটা প্রাকৃতিক গ্যাস নয়। অন্য পণ্য যেমন আমরা রপ্তানি করি ঠিক তেমন। এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই। তিনি আরো বলেন, এলপিজি গ্যাস আমাদের দেশে উৎপন্ন হয় না। এখন এই গ্যাস আমরা আমদানি করছি। রান্নায় সিলিন্ডারে সরবরাহ করছি। আগে স্বল্প পরিমাণে আমাদের এলপিজি উৎপাদন হতো। আমদানি করা গ্যাস গ্রামে বিভিন্ন কোম্পানি সরবরাহ করছে। আগে ১০ কেজির সিলিন্ডার ১৬শ টাকা দাম পড়তো। বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়ায় এখন ৯শ টাকা। এখন অনুমোদিত ২৬টি কোম্পানি কাজ করছে। আমরা ত্রিপুরায় যে গ্যাস দিচ্ছি সেটি এলপিজি। আমাদের দেশে যেমন সরবরাহ করছি সেটিই ত্রিপুরায় দিচ্ছি। যারা এর বিরোধিতায় সোচ্চার মানে বিএনপি ২০০১ সালের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। আমেরিকা গ্যাস বিক্রির জন্য বলেছিল, আমি বলেছিলাম দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরা তারপর বিক্রি করব। যে কারণে ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। আর যারা গ্যাস বিক্রি করে দিচ্ছে বলেছে তারাই গ্যাস দেবে বলে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন।

ফেনি নদীর পানি
তিস্তা চুক্তি ঝুলে থাকলেও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে ফেনী নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে যে চুক্তিটা হয়েছে সেটা তাদের খাবার পানির জন্য। তারা যখন আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলে, সেটার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ে। তাই ফেনি নদী থেকে সামান্য পানি দিচ্ছি। কেউ যদি পানি পান করতে চায়, আর আমরা না দেই, সেটা কেমন দেখা যায়? তিনি আরো বলেন, বলেন তো ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়? এটা খাগড়াছড়িতে। এটা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটা নদী। এর ৯৪ কিলোমিটার সীমান্তে, ৪০ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে। সীমান্তবর্তী নদীতে দুই দেশেরই অধিকার থাকে। যে চুক্তিটা হয়েছে, সেটা ত্রিপুরাবাসীর খাবার পানির জন্য। সব জায়গায় আমরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেছি। যেটুকু পানি নিয়েছে, ততটুকু আমাদের অংশে পড়েছে বলেই চুক্তি করেছি। বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে বলেছিলেন, ফারাক্কা চুক্তির কথা ভুলে গিয়েছিলাম। যারা গঙ্গার মতো পানির কথা ভুলে যায়, তারা আবার ফেনী নদীর পানি নিয়ে কথা বলে।

ভারতের সঙ্গে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ উজান থেকে নেমে আসা নদীগুলোর পানি বণ্টনের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিএনপিসহ অন্যদের সমালোচনার বিষয়ে বলেন, বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, জিয়াউর রহমান ও পরে খালেদা জিয়া যখন ভারতে যায় তারা কি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করতে পেরেছিল? তারা কী জবাব দিয়েছিল? আমরা ক্ষমতায় আসার পর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করার পর শুনতে হয়েছে ২৫ বছরের চুক্তি, দেশ বেচার চুক্তি। এবার হিসাব করে দেখেন কতটা গেছে আর কতটা পেয়েছি।

ছাত্রলীগ বুঝি না অপরাধীর বিচার হবে
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কীসের ছাত্রলীগ! কেউ যদি কোনও অপরাধ করে, সে কোন দল করে, কী করে, তা আমি দেখি না, অপরাধী অপরাধীই। বুয়েটে এই ঘটনা যখন ঘটে, সকালে শুনে আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলাম আলামত সংগ্রহ করতে, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে। ছাত্ররা নামার আগেই আমরা তৎপরতা শুরু করি। কে ছাত্রলীগ বা কী জানি না। অপরাধী অপরাধীই, অন্যায়কারীর বিচার হবে। আমি তো বলেছি, ঘটনা সঙ্গে জড়িত কোথায় কে ছিল সব কয়টাকে গ্রেফতার করতে। তবে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার পর সেটা আনতে দেবে না। আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিলো, এটা কেন? হত্যাকারীদের কেউ কি এর মধ্যে আছে যে ফুটেজ প্রকাশিত হলে তাদের পরিচয় বের হয়ে যাবে কিনা। পরে তারা ফুটেজ নিয়ে আসলো এবং কর্তৃপক্ষকে একটা কপি দিয়ে আসলো।

আবরার হত্যাকান্ড অমানবিক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটা বাচ্চা ছেলে, ২১ বছর বয়স। তাকে হত্যা করা হলো। মারা হলো পিটিয়ে পিটিয়ে। কী অমানবিক। পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা দেখেছি। সব ইনজুরি ভেতরে। একটা কথা আমার মাথায় এলো। ২০০১ সালে আমাদের নেতাকর্মীদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মারা হতো এমনভাবে যাতে বাইরে থেকে বোঝা যেত না। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত কত হত্যা হয়েছে। ছাত্রদল বুয়েটে টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে সনিকে হত্যা করেছে। ওই বুয়েটে আমাদের কত নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা কারও কাছে বিচার পেয়েছি? ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমি চেষ্টা করেছি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে। তিনি আরো বলেন, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে তারা আমার পার্টির এটা আমি কখনোই মেনে নেবো না। আমি সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগকে ডেকেছি। তাদের বহিষ্কার করতে বলেছি, পুলিশকে বলেছি অ্যারেস্ট করতে। ছাত্র রাজনীতিতে, এই বুয়েটে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকেও তো হত্যা করা হয়েছে। কেউ কোনও দিন বলেছে, কেউ অ্যারেস্ট হয়েছে? এটা করা হয়নি। আমি ক্ষমতায় আসার পর চেষ্টা করেছি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ স্বাভাবিক করেছি।

ছাত্রআন্দোলনের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন বা কীসের জন্য। বিচার তো হবেই। যে মা সন্তান হারিয়েছেন, যে বাবা সন্তান হারিয়েছেন তাদের যে কষ্ট কী সেটা আমি বুঝি। একটা সাধারণ পরিবারের ছেলে, একটা ব্রিলিয়ান্ট ছেলে। তাকে কেন হত্যা করা হলো। এই নৃশংসতা কেন, এই জঘন্য কাজ কেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। কোনও দল টল বলে আমি মানি না। আমি বিচার পাইনি। যখন কেউ বিচার দাবি করে সেটা আমি বুঝি।

ছাত্রদের দলীয় রাজনীতি বন্ধ করার ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজেও ছাত্র রাজনীতি করে এখানে এসেছি। রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সামরিক স্বৈরাচারদের মানসিকতা। নেতৃত্ব তৈরিতে ছাত্র রাজনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে বুয়েটের সিন্ডিকেট চাইলে তাদের প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতেই পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মস্তান ধরা হবে
বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল থেকে মাস্তানদের ধরার নির্দেশ দেওয়া হবে। জনগণের টাকায় হলে থাকবে আর মাস্তানি করবে তা হতে পারে না। এই বুয়েটে যে ছাত্রছাত্রীরা পড়েন তাদের পিছনে জনগণকে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়। শিক্ষার্থীদের পিছনে জনগণকে কত ব্যয় করতে হয় তারা কি সেটা জানে? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে বলবো- যখন এ ঘটনা একটা জায়গায় ঘটেছে, দেখা গেছে ওখানে এক রুম নিয়ে বসে জমিদারি চালানো, প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি হল সব জায়গায় সার্চ করার দরকার। কোথায় কী আছে না আছে খুঁজে বের করতে হবে। এ ধরনের কারা মাস্তনি করে বেড়ায়, কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায় সেটা দেখতে হবে। প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি হল, শুধু ঢাকা না, সারা বাংলাদেশে প্রত্যেকটা জায়গায় সার্চ করা হবে এবং দেখা হবে সেই নির্দেশটা আমি দিয়ে দেবো। এখানে আপনাদের মাঝে বলে দিচ্ছি সেটা আমরা করবো। সামান্য টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা বা ৩০ টাকা সিট ভাড়া দিয়ে একেকজন রুমে থাকবে, তারপর সেখানে বসে এ ধরনের মাস্তানি করবে, আর সমস্ত খরচ বহন করতে হবে জনগণের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে এটা কখনও গ্রহণযোগ্য না।

সব পোর্ট উন্মুক্ত
দেশের বন্দর বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোর্ট কেউ একা ব্যবহারের জন্য তৈরি করে না। নেপাল, ভারত, ভুটান আমাদের বন্দর ব্যবহার করতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের শুল্ক আয় হবে। সে কারণেই ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর নেপাল ও ভুটানকে ব্যবহারের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক সহযোগিতা না বাড়ালে দেশের উন্নতি হবে কীভাবে। কেউ তো আর একা একা উন্নতি করতে পারে না।

প্রসঙ্গ ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন
সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার জন্য সরকার আলাদা আইন করবে কিনা এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের জন্য স¤প্রতি সরকার ঘোষিত নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ব্যাপারে সংবাদপত্র মালিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওয়েজবোর্ডের ব্যাপারে আমাদের যে দায়িত্ব ছিল সেটা করেছি। এখন সংবাদপত্র মালিকরা না দিলে আমরা কী করব? এটি বাস্তবায়নের ব্যাপারে মালিকদেরই দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এখন এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমি তাকেই দায়িত্ব দিলাম।

ক্যাসিনো যাবে ভাসান চরে
ক্যাসিনো প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্যাসিনো বা জুয়ার জন্য দেশের একটি জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত নোয়াখালীর ভাসান চরের এক পাশে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দিতে নীতিমালা তৈরির প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, যারা ক্যাসিনো ও জুয়া খেলে অভ্যস্ত হয়ে গেছে- তাদের কেউ কেউ হয়তো দেশ থেকে ভেগে গেছে। এখানে সেখানে খেলার জায়গা খোঁজাখুঁজি করছে। আমি বলেছি, একটা দ্বীপ মতো জায়গা খুঁজে বের করো, সে দ্বীপে আমরা সব ব্যবস্থা করে দেবো। দরকার হলে ভাসান চর বিশাল দ্বীপ, এর একপাশে রোহিঙ্গা আরেক পাশে এই ক্যাসিনোর ব্যবস্থা করে দেবো। সবাই ওখানে চলে যাবে। তিনি আরো বলেন, বাস্তবতার নিরীখে বলছি, অভ্যাস যদি বদভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়, এই বদভ্যাস যাবে না, বার বার খোঁজাখুঁজি করতে হবে। তাই বার বার খোঁজাখুঁজি না করে একটা জায়গা ঠিক করে দেবো। ভাসান চর খুব বড় জায়গা। অনুবিধা নেই। ১০ লাখ লোকের বসতি দেওয়া যাবে। তার একটা এলাকায় কারা কারা ক্যাসিনো করতে চায় করতে পারবেন। লাইসেন্স নিতে হবে, ট্যাক্স দিতে হবে। তারপর ওখানে গিয়ে কারা কারা করবেন করেন, আমার কোনও আপত্তি নেই। আমাদের কোন সমস্যা নেই। এতে আমরা ট্যাক্স পাবো তো টাকা পাবো।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমূখ।

 

সূত্রদৈনিকইনকিলাব

ব্রেকিং নিউজ :
Shares