জেদ্দায় আন্তর্জাতিক ট্রেড ফেয়ার মেলার উদ্বোধন ২০১৯


rafiq প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২০, ২০১৯, ১৫:১১ / ২২৯
জেদ্দায় আন্তর্জাতিক ট্রেড ফেয়ার মেলার উদ্বোধন ২০১৯

রফিক চৌধুরী জেদ্দা ———বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা নিয়ে ঐতিহাসিক বন্দর নগরী জেদ্দার একজিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেদ্দা আন্তর্জাতিক ট্রেড ফেয়ার ২০১৯। মেলার উদ্বোধন করেন সৌদিআরবের জেদ্দার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির এর সহ-সভাপতি এইচ ই খালেফ আল ওতাইবী।

১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত শুরু হওয়া তিনদিনব্যাপী এবারের মেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের ৩২টি স্টলে ৩২টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছেন ।

মেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নের ৩২টি স্টলই সাজানো হয়েছে তৈরি পোশাক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, বেঙ্গল প্লাস্টিক পণ্য, ও বিভিন্ন রফতানিমুখী পণ্য দিয়ে। তবে দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী তৈরি পোশাক শিল্পের নিট ও প্লাস্টিকের তৈরি সামগ্রী ব্যাপক সারা মিলেছে বলে জানান দেশের ব্যবসায়ীরা ।

এইবারের মেলায় প্রবাসীদের দীর্ঘ দিনের দাবী সৌদিআরবের মাটিতে বাংলাদেশের একটি ব্যাংক সেটা পূরণ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেলায় অংশ নেওয়া সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী তৌহিদুল আলম, সৌদিআরবে আমারা প্রথম বাংলাদেশী বেসরকারী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য দরখাস্ত জমা করেছি সব কিছু ঠিক থাকলে আমি বছরের আমরা সৌদিআরবে ব্যাংকের একটি শাখা উদ্বোধন করতে পারব বলে আশা প্রকাশ করছি।

বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় এই মেলায় বাংলাদেশ এক্সর্পোট প্রমোশন ব্যুরো’র ও রিয়াদ দূতাবাসের সহযোগিতায় বাংলাদেশের স্টল সংখ্যা ছিল সর্বমোট ৩২টি। বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো স্টল ঘুরে দেখা যায় তৈরি পোশাকের আধিক্যের পাশাপাশি প্লাস্টিক সামগ্রী ও বাংলা দেশের বেশ কিছু ব্যাংক । মধ্যে প্রাচ্যের সব চেয়ে বড় বাজার সৌদিআরব, এই দেশের আবহাওয়ায় এবং সববয়সী ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে দেশের ব্যবসায়ীরা পণ্য রফতানিতে বেশ আশাবাদী হবে বলে মনে করছেন মেলায় অংশ নেওয়া চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী তৈরি প্লাস্টিক সামগ্রী প্রতিষ্ঠান এন, মোহাম্মদ গ্রুপের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ফরমান তৈয়ব

অন্যদিকে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সৌদিআরবে এগিয়ে থাকা ফারজানা ফ্যাশন ওয়াল্ড লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এর মতে সৌদিআরবে বাংলাদেশী তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে অনেক, আমরা এই মার্কেটে প্রতিবছর দুই লক্ষ মার্কিন ডলারেরমত রপ্তানি করছি, আমাদের মেলায় আশার উদ্দেশ্যে হল এই রপ্তানি আরোও বৃদ্ধি করা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পণ্যের প্রতি সৌদিআরবের ক্রেতাদের আগ্রহ অনেক আগে থেকেই। আর সাড়াও পাচ্ছি ব্যাপক। বিশেষ করে শিশু থেকে শুরু করে সবসয়সী ভোক্তাদের নিট এবং বিভিন্ন ধরনের পোশাক চাহিদা পূরণে আমার প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর।

মেলায় অংশ গ্রহণ কারি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ জেদ্দায় অনেক সাড়া পাচ্ছেন তারা । কিন্তু সৌদিআরব অনেকেই ব্যবসায়ী আছেন যারা ইংরেজিতে কথা বলতে ও বুঝতে পারে না, বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো যদি আমাদের এই বিষয়টা মাথায় রেখে সৌদিআরবের কমিউনিটি বাংলাদেশী অনেক নারী পুরুষ আছেন যারা ভালো আরবি বলতে পারেন তাদেরকে আমাদের সাথে সম্পৃক্ত করা যেত তাহলে আমাদের জন্য ক্রেতাদের বুঝিয়ে বলতে আরোও সহজ হতো, আমরা কমিউনিটির লোকদের পারিশ্রমিক দিতাম।

মেলায় আশা সৌদিআরবে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নুর সামাদ মিয়াজী বলেন, আমরা জানতাম না এই খানে এত বড় একটি আন্তর্জাতিক মেলা হচ্ছে, বাংলাদেশ , রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও রিয়াদ দূতাবাস যদি সৌদিআরবে বাংলাদেশী কমিউনিটি কাছে প্রচার প্রসার তুলে ধরত তাহলে মেলায় অংশ সৌদি বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করতে অনেক সাড়া ফেলত বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ সময় মেলায় বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল ফয়সাল আহমেদ, রিয়াদ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার আবুল হাসান কিন্তু দুঃখের বিষয় অনুষ্ঠানে আয়োজন কমিটি বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর কেউ অনুষ্ঠানে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। স্টলটি ছিল লোক শূন্য

ব্রেকিং নিউজ :
Shares