একি বললে? জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীর-সেই ভিডিও এখন একাধিক পর্ন সাইটে।


rafiq প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৬, ২০১৯, ২০:২৯ / ২৪৮
একি বললে? জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীর-সেই ভিডিও এখন একাধিক পর্ন সাইটে।

রফিক চৌধুরী বিডি সংবাদ একাত্তর  নারী কেলেঙ্কারির দায়ে ফেঁসে গেলেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীর আজই তাকে ডিসি পদ থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে নেয়া হবে বিভাগীয় ব্যবস্থা।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে জেলা প্রশাসকের অনৈতিক কর্মের একটি ভিডিও। যা বর্তমানে ‘টক অব দ্যা কান্টি’। নিজ অফিস কক্ষে ডিসি অফিসের এক নারী কর্মচারীর সাথে,

এমন ভিডিও প্রকাশ পাওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ওই আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই তার একই ধরনের আরো একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যেটি এখন আন্তর্জাতিক একাধিক পর্ন সাইটে চলে গেছে।ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া আগের ভিডিওটি মিনিট পাঁচেকের হলেও পর্ন সাইটে পুরো ২৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিও আপ হয়েছে।

অর্থাৎ ফেসবুক বা ম্যাসেঞ্জারে কাটছাট করে ছাড়া হয়েছিল ভিডিওটি।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ৪ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করা হয়। শুক্রবার ভোরের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও শুক্রবার সকাল আটটা থেকে ওই আইডিতে ভিডিওটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে সেটি ছড়াতে থাকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে।দুপুরে জামালপুর সার্কিট হাউজে সংবাদ সম্মেলন ডেকে জেলা প্রশাসক দাবি করেন, যে পুরুষটিকে দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে, সেটি তিনি নন।

তবে এটি তার কার্যালয়ের ভেতরে স্থাপন করা শোয়ার কক্ষ যে, এটি তিনি স্বীকার করেন।এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করে ডিসি বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। আপনারা আমাকে একটু সময় দেবেন। প্রকৃত ঘটনা জানতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

তবে পরদিন ২৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের পুরো ভিডিওটি পর্ন সাইটে আপ হয়ে যায়। বাংলাদেশে এই সাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হলেও বিকল্প পন্থায় এখনো তা দেখা যায় এবং তার মাধ্যমেই এই ভিডিওটিও ছড়িয়ে পড়েছে।জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একাধিক কর্মীরা গণমাধ্যমকে জানান, নারী নিয়ে প্রবেশ করার সময় লাল বাতি জ্বালিয়ে রাখতেন ডিসি। বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন একজন পিয়ন যার

কাজ ছিলো ওই সময় রুমে যাতে কেউ ঢুকতে না পারেন তা পাহারা দেয়া। আর রুমের বাইরে সবুজ বাতি জ্বালিয়ে দিয়ে তবেই রুমে কাউকে ঢুকতে দিতেন আদেশপ্রাপ্ত পিয়ন।এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছিল, ভিডিওটি অফিসের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় (সিসি) ধারণ করা। প্রশ্ন ওঠে তবে কি ওই রুমে সিসি ক্যামেরার কথা জানতেন না ডিসি? এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেলো ভিন্ন কথা। আসলে ওই রুমে কোনো সিসি ক্যামেরা ছিলোই না।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অফিস কক্ষের পাশের ওই রুমটিতে আগে বিশেষ মিটিং করতেন ডিসি। পরে টেবিল চেয়ার সরিয়ে সেখানে খাট বসানো হয়। বলা হয়, রুমে তিনি বিশ্রাম নিবেন।ডিসির রুমে যাওয়ার জন্য দুইটি রাস্তা ছিল। যার একটি বন্ধ করে দেয়া হয়। অপর গেটটির উপরে আছে লাল এবং সবুজ বাতি। নারী নিয়ে ওই বিশ্রাম কক্ষে প্রবেশের সময় তিনি লাল বাতি জ্বালিয়ে দিতেন। পিয়নকে আগেই বলা থাকতো, সবুজ বাতি না জ্বলা পর্যন্ত কাউকে যেন ভেতরে ঢুকতে দেয়া না হয়।এদিকে, ওই নারীর সঙ্গে ডিসির সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে যে, ‘অফিস সহায়ক’ হলেও তিনি খবরদারি চালাতো সবার সঙ্গে। তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে অফিসের কর্মীদের মধ্যে কেউ ওই রুমে গোপন ক্যামেরা সেট করেন। আর তাতেই ধরা পড়ে বিশ্রাম রুমে ডিসির আপত্তিকর ভিডিও।এ ঘটনায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি একজন ডিসি হয়ে এমন ঘৃনৃত কাজটি করতে পারলে তাহলে সমাজ আজ কাদের দিয়ে পরিচালিত হচ্চে? এই ❓প্রশ্ন জনমনে।।   ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সব স্তরের মানুষ  সূত্র বিডি সংবাদএকাত্তর

 

ব্রেকিং নিউজ :
Shares