জামাতের আমিরের একটি বক্তৃতা,আ’লীগের উদ্দীপনা, জনতার মিশ্র প্রতিক্রিয়া।টিপু সুলতান,বিডি সংবাদ ৭১,


rafiq প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩০, ২০২২, ০৩:৪৯ / ১৯৩
জামাতের আমিরের একটি বক্তৃতা,আ’লীগের উদ্দীপনা, জনতার মিশ্র প্রতিক্রিয়া।টিপু সুলতান,বিডি সংবাদ ৭১,

জামাতের আমিরের একটি বক্তৃতা,আ’লীগের উদ্দীপনা, জনতার মিশ্র প্রতিক্রিয়া।-টিপু সুলতান,বিডি সংবাদ ৭১,

বিডি সংবাদ ৭১ ডেস্ক ঃ  গত ২ দিন আগে জামাআতে ইসলামের আমির তাদের একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ২০ দলীয় জোট প্রসঙ্গের একটি ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে এটি টপ অব দ্যা কান্ট্রি হয়ে যায়। এতে বিএনপির কর্মী ও সাধারন জনগণ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সবচেয়ে হট মন্তব্য করেন আ’লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আহমেদ হুসেন, তিনি এটাকে “বিএনপির বড় উইকেটের পত্তন” বলে উজ্জীবিত মন্তব্য করেন। প্রশ্ন হলো আ’লীগ কেন জামাআত বিএনপির সেপারেশনে এতো উজ্জীবিত? তার বক্তব্যই প্রমাণ করে আ’লীগ বিএনপি-জামাতের সম্মিলিত শক্তিকে ভয় পায়। কিংবা বিএনপি জামাতের সেপারেশনকে তারা সাধুবাদ জানায়।
বাস্তবতা কিন্তু তাই বলে, সম্ভবত ২০১২ সালের ঘটনা জামাআত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রায়ের পর ইসলামি ছাত্র শিবিরের পুলিশকে ফুল দেয়ার ঘটনাকে অনেকে আ’লীগের ঐ সময়ে জামাআতের সাথে একটি নেগোসিয়েশনের সম্ভাবনার উল্লেখ করেন। যদিও ঐসময় শাহবাগে ভারতীয় র’য়ের ইশারায় এবং বামপন্থীদের আয়োজনে কাদের মোল্লার ফাঁসীর দাবীতে লাগাতার আন্দোলনের কারনে নাকি আ’লীগ সেই নেগোসিয়েশন থেকে সরে আসে।

চলমান ঘটনায় জামাআতের আমিরের বক্তব্যের সারমর্ম হলো বিএনপির সাথে জামাআতের আলোচনায় নাকি জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, বিএনপি আর ২০ দলীয় জোটকে কন্টিনিউ করবেনা। সেই প্রসঙ্গে তিনি ২০ দলীয় জোটের কার্যক্রম নিয়ে তাদের অভিযোগ অনুযোগ ও আগামীর পথচলার বর্ণনা তার বক্তব্যে পাওয়া যায়। তাকে বলতে শুনা যায় আগামীতে তারা দেশের স্বার্থে যুগপৎ আন্দোলন করবেন। এবং সেই আন্দোলন যে কঠিন ও অনেক ত্যাগের হবে সেটা উল্লেখ করে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান।

জামাতের আমিরের মন্তব্যে বিএনপি মহাসচিবকে আজ ২৯শে আগষ্ট দলের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি হেসে বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন উত্তর দিবনা।

এই টপ অব দ্যা কান্ট্রি বিষয়ে নানান জনের নানান মত চলছে। বিএনপির কিছু কিছু কর্মীরা জামাআতের এই চলে যাওয়াকে সাধুবাদ জানালেও বিএনপির হাই কমান্ড এ বিষয়ে নিশ্চুপ। এই ঘটনায় কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আসে যা বিভিন্ন জনের প্রতিক্রিয়ায় আসছে।

* বিএনপি কি জামাআতকে জোটে রেখে চলতে চায়? কেন বিএনপি মহাসচিব জামাআত প্রশ্নে সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন?
* জামাআত কেন প্রেস ব্রিফিং বা প্রেস বিজ্ঞপ্তি করে এই বক্তব্য প্রকাশ করলো না। এবং জামাআতের এতো গোপনীয়তা সত্ত্বেও তাদের মিটিংয়ের এই খবর বাহিরে আসলো কেমনে? এমনকি এই খবর বাহিরে আসায় জামাআত কি বিব্রত?

* জামাআত কি তাদের দলীয় নিবন্ধন ফিরে পেতে আ’লীগের সাথে প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে পথ চলতে চায়?
* যে আ’লীগ বিএনপির জোটে জামআত থাকায় বিএনপিকে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বলে উল্লেখ করে, সেই আ’ লীগ কি ১৯৯৫ এর মতো জামাআতকে সঙ্গী করতে চায়?
* জামাআতের আমিরের মন্তব্য অনুযায়ী জামাআত কি আলাদা থেকে অবৈধ আ’লীগ সরকার পত্তন আন্দোলনে মাঠে যুগপৎভাবে সক্রিয় থাকবে?
* সর্বশেষ প্রশ্নঃ এই বিষয়টি কি বিএনপি জামাতের রাজনৈতিক কৌশল? নাকি সম্পর্কচ্ছেদ?

লেখাটি অনেক লম্বা হওয়ায় এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আগামিকাল ২য় পর্বে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ!

ব্রেকিং নিউজ :
Shares