জাতীয় ঐক্যের আহ্বান, জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী


rafiq প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৬, ২০১৯, ০৭:০১ / ২৮৮
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান, জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী

রফিক চৌধুরী——–

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আ.লীগের বিজয় ও ঐক্যফ্রন্টের পরাজয়ের কারণ * আরো কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে * দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শোধরানোর আহ্বান *দেশবাসী এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল দল ও জোটকে ধন্যবাদ * বিরোধী দলের এমপিদের সংসদে যোগ দেয়ার আহ্বান * পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা,

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ঐক্যের যোগসূত্র হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির। বিজয়ের পর আমরা সরকার গঠন করেছি। সরকারের দৃষ্টিতে দল-মত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক সমান। আমরা সবার জন্য কাজ করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ হবে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দু। সরকারি সেবা খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় জীবনের সর্বত্র আইনের শাসন সমুন্নত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। জনগণের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখে যে রায় দিয়েছেন, কথা দিচ্ছি আমি প্রাণপণ চেষ্টা করব সে আস্থার প্রতিদান দিতে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের সবগুলো টেলিভিশন, রেডিও সম্প্রচার করেছে। এ সময় একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের বিজয়ী করেছেন, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যারা আমাদের ভোট দেননি, তাদেরও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল দল ও জোট এবং প্রার্থীকে ধন্যবাদ জানান। ‘সুষ্ঠুভাবে’ নির্বাচন সম্পন্ন করায় নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নতুন মন্ত্রিসভার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রণে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা আর নবীনদের উদ্যম- এই দুইয়ের সমন্বয়ে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
দুর্নীতি নিয়ে সমাজের সর্বস্তরে অস্বস্তি রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের নিজেদের শোধরানোর আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি উচ্ছেদ করা হবে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি নির্মুল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্নীতি বন্ধে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। তাই, গণমাধ্যমের সহায়তায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির কাজ অব্যাহত থাকবে। জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে ইতোমধ্যেই মাদক, জঙ্গি তৎপরতা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সফলতা অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রভাবে কিংবা স্থানীয় প্ররোচনায় আমরা কিছু কিছু তরুণকে বিভ্রান্তির শিকার হয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হচ্ছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। জনগণের প্রতি মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধী দলের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, একাদশ সংসদে বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা নিতান্তই কম। তবে, সংখ্যা দিয়ে আমরা তাদের বিবেচনা করব না। সংখ্যা যত কমই হোক, সংসদে যে কোনো সদস্যের ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রস্তাব/আলোচনা/সমালোচনার যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের বিজয় ও বিএনপির পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেন। ১৪টি পয়েন্টে দলের বিজয়ের ব্যাখা দেন তিনি। তা হলো- বিগত ১০ বছরে দেশের উন্নয়ন; ১০ বছরে জীবন মানের উন্নয়ন যেমন- ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, মোটরযানে যাতায়াত; বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা; গ্রামবাংলার পরিবারগুলো সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর উপকারভোগী হওয়া; কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, ভ্যান বা রিকশাচালকসহ নিম্নবিত্তের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন; সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা ১০ বছরে আড়াই থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি হওয়া; বেসরকারি খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও সমহারে বৃদ্ধি পাওয়া; কৃষিজীবীদের সার, বীজসহ বিভিন্ন উপকরণে ভর্তুকি প্রদান; কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও রফতানি বাণিজ্যের প্রসার; মেঘা প্রকল্প দৃশ্যমান হওয়া; যেমন- পদ্মাসেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাসড়কগুলোকে চার-লেনে উন্নীতকরণ; মানুষ নিজের এবং দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি; আওয়ামী লীগের ব্যাপক নির্বাচনী প্রস্তুতি; ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা; যেমন- ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা; সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সমর্থন।
এ সময় বিএনপির পরাজয়ের বিষয়েও সাতটি পয়েন্টে ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক আসনে তিন-চারজন বা তারও বেশি প্রার্থী মনোনয়ন; মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক বাণিজ্যের অভিযোগ এবং দুর্বল প্রার্থী মনোনয়ন; নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন- সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা; নিজেরা জনগণের জন্য কী করবে, সে কথা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। অপর দিকে, ক্ষমতায় গেলে আমাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা নেবে- তাদের প্রচারণায় প্রাধান্য পেয়েছে; সোস্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা ছাড়া নিজেদের সাফল্য গাঁথা তুলে ধরতে পারেনি; ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী অগ্নি-সন্ত্রাস; বিএনপির ধানের শীষ মার্কায় যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন তরুণ ভোটাররা মেনে নিতে পারেনি। তাই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের পরাজয় হয়েছে।
দেশের উন্নয়নে আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই পথচলা মসৃণ ছিল না। শত প্রতিক‚ল অবস্থা মোকাবেলা করে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছি। যার সুফল জনগণ পাচ্ছে। এ অর্জন শুধু সরকারের নয়, এ অর্জন দেশের প্রতিটি পরিশ্রমী মানুষের। ১০ বছরে মানুষের জীবনমান এখন অনেক উন্নত। দেশকে আমরা আরো উন্নত করতে চাই। সামনে অনেক কাজ, আরো কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।
তাই একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’ স্লোগান সংবলিত নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছি। ইশতেহারের আলোকে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জলবায়ুর ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন অর্জনের জন্য আমরা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ নামে শতবর্ষের একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।
সরকারের নেয়া পরিকল্পনাগুলোর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আমরা দেড় কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, সারাদেশে দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, পর্যটন, সেবাখাতসহ অন্যান্য খাতে প্রাতিষ্ঠানিক এবং আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
এ ছাড়া তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করা, তরুণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা ও প্রণোদনা প্রদান, সরকারি উদ্যোগে কর্মসংস্থান পরিকল্পনা, তরুণ উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনসমূহ আন্তর্জাতিকভাবে পেটেন্ট করার উদ্যোগ গ্রহণ, দেশ-বিদেশে কর্মে নিয়োগের জন্য কারিগরি বিষয়ে দক্ষ কর্মী তৈরি এবং কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি কলেজ স্থাপন করা। ইতোমধ্যে কারিগরি কলেজ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেষখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পসহ ফাস্ট ট্র্যাক মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজে গতি আনা হবে। দেশের প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। ইন্টারনেট/তথ্য প্রযুক্তি সর্বত্র পৌঁছে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি আগেও বলেছি, আবারো বলছি- আমার ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। বাবা-মা-ভাই, আত্মীয়-পরিজনকে হারিয়ে আমি রাজনীতি করছি শুধু জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তাবায়নের জন্য; এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। এ দেশের সাধারণ মানুষেরা যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারেন, উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হতে পারেন- তা বাস্তবায়ন করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।
এ সময় ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০-২০২১ সালে মুজিব বর্ষ এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন করা হবে। বাঙালি জাতির এই দুই মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা দেশকে আর্থ-সামাজিক খাতে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। আর এর কৌশল হিসেবে আমরা ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদদের স্মরণ এবং দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট হত্যাকান্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের কথা ‘গভীর বেদনার সঙ্গে’ স্মরণ করেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কথাও তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের যে নেতাকর্মীরা নিহত হয়েছেন, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ‘বিএনপি-জামায়াত জোটের ‘অগ্নি-সন্ত্রাস এবং পেট্রোল বোমায়’ যাদের প্রাণ গেছে তাদের সবার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ ইন্তেকাল করা সাবেক সংসদ সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সর্বশেষ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল/ এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি/ নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার

ব্রেকিং নিউজ :
Shares