জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য প্রদানকারী সরকারের কাছে সহযোগিতা চান ,কুলাউড়ার মনি বেগম।


rafiq প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০, ০১:৪০ / ৪১২
জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য প্রদানকারী সরকারের কাছে সহযোগিতা চান ,কুলাউড়ার মনি বেগম।

জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য প্রদানকারী সরকারের কাছে সহযোগিতা চান ,কুলাউড়ার মনি বেগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলা কুলাউড়া উপজেলার ১২নং পৃথিমপাশা ইউনিয়নের অধিবাসি মনি বেগম ২০১৫ সালে সেভ দ্যা চিলড্রেন এর মাধ্যমে বাংলাদেশের একমাত্র শিশু প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের ৭০ তম সাধারণ অধিবেশনে Child marriage ও Gender Equality নিয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগ পায় ।

যদিও মনি বেগমের এগিয়ে আসার বিষয়টা ছিল ঠিক এই ভাবেই , ২০১৩ সালে ব্রাকের Adolescent Development programme এর সাত দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ গ্রহনের মাধ্যমে একজন কিশোরী নেত্রী নির্বাচিত হোন এবং নিজ উপজেলার সুলতানপুর কিশোরী ট্রাস্ট ক্লাবের একজন কিশোরী নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনরত ৷ ২০১৪ সালে ঢাকা আহসানিয়া মিশন এর একজন ইয়ুথ লিডার নির্বাচিত হয়েছেন । ২০১৫ সালে জাতিসংঘের ৭০ তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য প্রদান করেন । এর পর থেকে মনি বেগম প্রত্যক্ষ ভাবে সমাজে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । তার কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ২০১৬ সালে বাংলাদেশের শীর্ষ দশ জনের একজন হিসেবে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার কর্তৃক ইয়ুথ এওয়ার্ড এ ভুষিত হন । এবং ২০১৭ সালে সেভ দ্যা চিলড্রেন এর মাধ্যমে দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন গার্ল নির্বাচিত হয়েছেন । এই পর্যন্ত তিনি প্রায় ২০০ টিরও উপরে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছেন । যার ফল স্বরুপ ২০১৮ সালে International Children Peace Prize (আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরষ্কার) এর টপ তৃতীয় স্থানে অবস্থান নেন । যেখানে ৪৫ টি দেশ অংশ গ্রহণ করেছিলো ।

মনি বেগম ২০১৭ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ পেক্স ফাউন্ডেশন (BD Pax Foundation) নামের একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্টা করেন । এই ফাউন্ডেশনের দুটি শাখা রয়েছে ।
১. Shining Future For Children যা শিশুরা যাতে শারীরিক ভাবে বেড়ে ওঠার সাথে সাথে মানসিক ভাবে বেড়ে ওঠতে পারে সে দিকে লক্ষ রেখে কাজ করে চলছে ।
২. Unique Adolescent Club যা সমাজের ঝড়ে পড়া ও অবহেলিত কিশোর-কিশোরীদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে । এই ক্লাবে ৩৫ টিরও উপরে কিশোর কিশোরী রয়েছে। এই ফাউন্ডেশনের অর্থ তিনি নিজেই বহন করেন, যদিও তাঁর কোনো বড় ইনকাম নেই । পাশা পাশি মাঝে মাঝে তিনি সয়ামজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সহযোগীতা নেন ।
গত কয়েকদিন আগেই তিনি স্বীদ্ধান্ত নেন যে, আগামি কয়েকদিনের ভিতরেই করোনা পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার পর Unique Adolescent Club এর সকল কিশোর-কিশোরীকে ফ্রিতে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন ।

আমাদের প্রতিনিধি মনি বেগমের কাছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে , তিনি বলেন একটি ছোট-খাটো গার্মেন্টস পরিচালনার মাধ্যমে সমাজের হত দরিদ্র, বেকার, ঝড়ে পড়া প্রায় ত্রিশজন মেয়ের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা । এবং ভবিষ্যতে চা-শ্রমিকের শিশুদের পুষ্টি নিয়ে কাজ করতে চান ।

মনি বেগম আরোও বললেন যদি এই ক্ষেত্রে সরকার বা আমাদের দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে থেকে সাপোর্ট পাই তাহলে আমি নির্দিধায় কাজ করতে পারব । যদিও খুব স্বপ্নছিলো জাতিসংঘ থেকে দেশে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে স্বাক্ষাত করার। কিন্তু দূর্ভাগ্য ক্রমে দেশে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে আমার কোনো খোঁজ করা হয়নি ।

এই পর্যন্ত কাজ করতে গিয়ে সমাজের অসংখ্য খারাপ মমস্তিষ্ক আর বিকৃত মানুষের বাধার সম্মুখিন হয়েছি৷ আর এখনও হয়ে চলেছি। আমার বিশ্বাস যদি আমি আমার কাজের জন্য সরকারের স্বীকৃতি পাই বা সরকারের পক্ষ হতে সহযোগীতা পাই তাহলে ইন শা আল্লাহ আমার বিশ্বাস যে, আমি নির্ভয়ে কাজ করে যেতে পারব । বাংলাদেশ সরকার যদি আমাকে সহযোগীতা করেন তাহলে আমি এই সমাজ আর সমাজের অবহেলিত মানুষকে নিয়ে দেখা স্বপ্নকে সফলতায় রুপ দিতে পারবো ।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares