মোহাম্মদ ফিরোজ সিনিয়র রিপোর্টাার চন্দ্রঘোনা স্কুলের রাস্তার শত বছরের গাজ কেটে ফেলার পাঁয়তারা চলছে
চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের প্রতি চন্দ্রঘোনা কদমতলি সর্বসাধারণের আবেদন৷
চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ চন্দ্রঘোনা আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক সংলগ্ন ৫০/৬০ বছররের পুরানো কিছু গাছ স্কুল কমিটির কিছু লোক কেটে বিক্রি পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকার জনসাধারণের অভিযোগ, কোন কারণ ছাড়াই এত বছরের পুরনো গাছ গুলো কেটে ফেলার পাঁয়তারা করছে স্কুল কমিটির কিছু ব্যক্তি, যা আমরা মানতে পারব না, চন্দ্রঘোনা স্কুলের রাস্তার পাশে এই গাছ গুলো সৌন্দর্য রক্ষায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখছে, আমরা এই গাছ গুলো কোন ভাবেই কাটতে দেব না ।
স্থানীয়রা আরো জানান, চন্দ্রঘোনায় কদমতলী ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন গাছ এই সড়কে আছে, কাপ্তাই রোড় থেকে স্কুল পর্যন্ত শত বছরের এই পুরানো দু’পাশে লাগানো এই সড়কের মেহগনি গাছ, নারিকেল গাছ ও অন্যান্য গাছগুলো ৮০ দশকে তৎকালীন ইউ পি চেয়ারম্যান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে লাগিয়ে ছিলেন এরং পরিচর্যা করেছিলেন। যা আজ বিদ্যালয়ের সম্পদ। এই গাছগুলো এলাকার পরিবেশ দারুণ মুগ্ধ করে।
বিদ্যালয় মাঠের চারিদিকে এবং এই সড়কের খালি জায়গা ছাড়াও ইউ পি সড়কে নতুন ভাবে গাছ লাগানোর দাবী জানান এলাকার জনসাধারণ।
স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মোহাম্মদ রফিক বলেন, স্কুল সড়কের গাছগুলো সড়কটিতে বেশ শোভাবর্ধন করে বীরদর্পে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কোন অজুহাত ছাড়া এলাকার জীবন্ত গাছগুলো কেটে ফেলার পাঁয়তারা চলছে। অনান্য সড়কে গাছ দেখা যায় না, এই সড়কে যে কয়েকটি গাছ দাঁড়িয়েছিল সেটাও কেটে নিতে নতুন মিশনে নেমেছেন এই কিছু লোক। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
মোহাম্মদ এরশাদ চৌধুরী জানান, স্কুলের রাস্তার গাছ গুলো কাটার অনুমতি চেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিকট আবেদনও করেছেন বলে জানতে পারলাম, মাননীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় অবগত আছেন গাছ যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে তেমনি পরিবেশকে সুন্দর রাখে, তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সঠিক পদক্ষেপ নেবার দাবী জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :