রফিক চৌধুরী জেদ্দা থেকে
জাতীয়তাবাদী দল সৌদিআরব কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্দোগে মহান স্বাধীনতা দিবস ও অভিষেক অনুশ্ঠান উপলক্ষে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে এক বর্ণনাঢ্য রেলি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াই সকাল থেকে নেতা কর্মীরা আসতে থাকেন এর আগের রাতেই ভেনুতে অবস্থান নেন আহব্বায়ক কমিিটির সদস্যরা সুশৃঙ্খল ভাবে পুরো অনুষ্ঠানটিি বাস্ততবায়ীত করতে সক্ষম হন। অনুষ্ঠান মালায় ছিল। সাংস্কৃতিক, চিত্রআংকন, বাচ্চাদের দৌড়ে, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা সহ নানা রকম ইভেন্ট ।বক্তৃতার মুল বিষয় ছিল গনতন্ত্র বিপন্ন ও মুক্তির উপায়? উক্ত বিষয় গুলো পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনায় ছিলেন উক্ত অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান ও সদস্য সচিব ইন্জিনিয়ার নুরল আমিন
সৌদিআরব জেদ্দার আবহুর এর এক মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই দিনব্যাপী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সৌদিআরব বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিব।
সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তপন এর পরিচালনায় উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন সৌদিআরব বি,এন,পির সাধারণসম্পাদক মনিরুজ্জামান তপন ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব আব্দু রহমান তিনি যখন মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ লড়াইয়ে ও দেশ মাতৃকার জন্য অসামান্য অবদান রাখা এক বীরের সহধর্মীনির জেলের অন্ধকার প্রকোষ্টে দুর্বিষহ জীবন যাপনের প্রসঙ্গ টেনে অশ্রু সিক্ত নয়নে বক্তব্য রাখেন। তখন নেত্রীর প্রতি তার এই আনুগত্য এবং ভালোবাসা দেখে কানায় কানায় পূর্ন পুরো সমাবেশের নেতা কর্মীরা ও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং এই নেতার বক্তৃতায় সকলেই অভিভূত ।
এবং সভাপতির বক্তব্যে সৌদিআরব এর এই সমাবেশের সহস্র উপস্তিতিতে যে সমাবেশ ছিল সরব প্রাণচঞ্চল মুহূর্তে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা।
বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিব বলেন, ৭১ সালে যখন দিশাহারা জাতীকে পিছনে ফেলে শেখ মুজিব পাক বাহীনির কাছে আত্মসমর্পণ করে তখন দিশাহীরা জাতীকে পথ প্রদশ’ক হিসেবে জিয়াউর রহমান পাক বাহীনির সাথে রিবোল্ট করে চট্রগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষনা করে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। স্বাধীনতার এত বছর পর আজও বাংলাদেশ স্বৈরাচারের কবলে । দেশনেত্রী গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে বন্দী করে তাদের ক্ষমতা দীঘা’য়িত করতে চায়। মুক্তিকামী জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্টা ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্টা করার জন্য ঐক্যর বিকল্প নেই। যেদিন দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে এবং স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে যেদিন দেশবাসী মুক্তি পাবে সেদিনই হবে স্বাধীনতার প্রকৃত অর্জন।
সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তপন, বলেন মুক্তিযোদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে যে অগনতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হয়েছে তা থেকে জাতিকে মুক্ত করাই আজকের স্বাধীনতা দিবসের একমাত্র শপথ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারগার থেকে মুক্ত করে দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে স্বাধীনতার পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে আমাদের। এবং পরে তিনি নতুন কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষনা করেন।এতে আরও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ সভাপতি ,আবদুল জলিল, সি,আই পি কেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী মঈন চোধুরী , মক্কাপ্রদেশিক বি,এন,পির সভাপতি খন্দকার এম, এ,হেলাল (সি,আই,পি৷) নুরুল আফসার ,যূগ্নসম্পাদক শাহজাহান, শরিফ মোহাম্মদ হারন,, টিপু সুলতা, আব্দুলজলিল মৃধা সাঈদুল ইসলাম,ইলিয়াসবিন রশিদ,এরশাদ আহমেদ সেচ্চাসেবক দল,, নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আব্দুল মান্নান, বাহার উদ্দিন বাদল,,।বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, ইমন ইসমাঈল, আহমেদ রহিম চৌধুরী শাহজালাল ইমন ,মুফিজুল আলম,মাহমুদুল হক মাহমুদ,আলাউদ্দিন, নজরুল সিকদার, মৌঃআসহাব উদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, আনোয়ার জাহিদ, মিন্টু, আলমগীর, শামশুলহক সাদ, জাসাস এর রফিক চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, মুফতি, সোহাগ, আল-মামুন শিপন, আমজাদ হোসেন সহ আর ও অনেকে, পরিশেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন, এবং পরবর্তীতে আজিজুলহক মিলনের শুভেচছাব্যান্ডের পরিবেশনায় গান পরিবেশন করেন সেলিম মোল্লা, সাকিল সহ আর অনেকে।
আপনার মতামত লিখুন :