এ নির্বাচন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন: ফখরুল


rafiq প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮, ২২:২২ / ২৩৫
এ নির্বাচন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন: ফখরুল

 রফিকচৌধুরী ———————- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন শুধুমাত্র একটি নির্বাচন নয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন। তাই আপনারা নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে ভোট গণনা করে ফলাফল নিয়ে তবেই ঘরে ফিরবেন।’

বুধবার বিকেলে বগুড়া সদরের বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিএনপি আয়োজিত তার নির্বাচনী এলাকা বগুড়া-৬ সদর আসনের নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগের সরকার জুলুমবাজ সাধারণ মানুষকে নির্যাতনকারী সরকার। এ নির্বাচন বানচাল করতে তারা সব রকম অপকর্ম ও মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে এসব অপকর্ম ও জুলুমের জবাব দিবে দেশের মানুষ।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে দেশের মানুষে একটিই চাওয়া আর তা হলো পরিবর্তন। বগুড়ার যে আসনে আমি নির্বাচন করতে এসেছি সেই আসনটি আমার নয়। এটি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আসন। বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশেই আমি এ আসনে প্রার্থী হয়েছি।’

বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেলের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেনার সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয়কারী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিগত ১০ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বর্তমান সরকার নির্বাচনের নামে জনগণের সাথে প্রহসন করেছে। এবারও তারা চেষ্টা করেছিল আরেকটি প্রহসনের নির্বাচনের। বর্তমান সরকার মনে করেছিল এবারও নির্বাচনে বিএনপি মাঠে থাকবে না। আর সেই সুযোগে তারা ফাঁকা মাঠে আরেকটি গোল দিবে। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ দেখে তারা বিচলিত হয়ে হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে। নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেও তারা পার পাচ্ছেনা। একজন কর্মীকে গ্রেপ্তারের পর দশটি কর্মী বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের একজন প্রার্থী দেড়’শ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি। তার পরেও তিনি বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারছে। আর ২ কোটি টাকার মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে

ব্রেকিং নিউজ :
Shares