একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুমতি দেওয়া হয়নি ৮৭৫১ দেশি পর্যবেক্ষকে


rafiq প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮, ০০:৩০ / ২০৩
একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুমতি দেওয়া হয়নি  ৮৭৫১ দেশি পর্যবেক্ষকে

রফিক চৌধুরী—————————আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮ হাজার ৭৫১ জন দেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি পাননি। এক জেলায় একটি সংস্থার পক্ষ থেকে ৫০ জনের বেশি পর্যবেক্ষককে অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের নিবন্ধিত ১১৮টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্যে ৮১টি সংস্থার পক্ষ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আবেদন করে ৩৪ হাজার ৬৭১ জনের তালিকা দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার ইসি ২৫ হাজার ৯২০ জনকে অনুমোদন দিয়েছে। ইসি সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে এনজিও ব্যুরো থেকে অর্থায়নের অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দেশি ২২ টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মোর্চা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) সদস্যরা শেষ পর্যন্ত পুরোদমে পর্যবেক্ষণে থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। ইডব্লিউজির সদস্যরা পর্যবেক্ষণের জন্য ইসির অনুমোদন পেয়েছে। তারা আশা করছে, আজ রবিবারের মধ্যে এনজিও ব্যুরো ইডব্লিউজির অর্থায়নে ছাড় দেবে। ৩০০ সংসদীয় আসনের সবকটিতেই স্থানীয় পর্যবেক্ষক থাকছেন। সবচেয়ে বেশি দেশি পর্যবেক্ষক থাকবেন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ২২০ জন। সবচেয়ে কম পর্যবেক্ষক থাকছে ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসনে। এই আসনে মাত্র ১৩ জন স্থানীয় পর্যবেক্ষক থাকবেন। অন্য আসনগুলোতে পর্যবেক্ষক সংখ্যা সর্বনিম্ন ৫০জন।

আওয়ামী লীগও ডেমোক্রেসি ওয়াচ, খান ফাউন্ডেশন, লাইটহাউস ও মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদের বিষয়ে ইসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানায়। তবে তাদের পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিএনপি জানিপপ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। তারাও পর্যবেক্ষণের অনুমোদন পেয়েছে।

দশম সংসদ নির্বাচনে চারটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের চারজন এবং দেশি ৩৫টি সংস্থার ৮ হাজার ৮৭৪ জন পর্যবেক্ষণ করেছিল। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে ৫৯৩ জন আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় ৭৫টি সংস্থার ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন পর্যবেক্ষক ছিলেন। অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ৩২ দেশের ২২৫ জন আন্তর্জাতিক এবং ৬৯টি দেশি সংস্থার ২ লাখ ১৮ হাজার পর্যবেক্ষক ছিলেন।

ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইসিতে নিবন্ধিত ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থা আছে। তাদের মধ্য থেকে যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আবেদন করেছে, তাদের আবেদনগুলো ইসি পর্যায়ক্রমে অনুমোদন দিচ্ছে। যেগুলো নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক নেই সেগুলোকে প্রথমে অনুমোদন দেওয়া হয়। আর যেসব সংস্থা নিয়ে বা তারা যেসব ব্যক্তির নাম দিয়েছে তাদের নিয়ে বিতর্ক আছে, সেগুলোর বিষয়ে ইসি খতিয়ে দেখছে। বেশি বিতর্কিত বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম থাকলে সেটা দেখা হচ্ছে

ব্রেকিং নিউজ :
Shares