একাদশ জাতীয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু নেইঃ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।


rafiq প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, ২১:৫১ / ১৯৬
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু নেইঃ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।


–জসিম মাহমুদঃঃঃ—– 
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমি মোটেও মনে করি না এই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কথাটা এখন একটা অর্থহীন কথায় পর্যবসিত হয়েছে।’
এসময় এক সাংবাদিক বলেন, ‘সিইসি বলেছেন নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে, আপনি কী তার বিরোধীতা করছেন?’
জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমি কখনও তার বক্তব্যের বিরোধীতা করি না। তিনি তার কথা বলেন, আমি প্রয়োজনে আমার ভিন্ন মত প্রকাশ করি। আপনারা তো সাংবাদিক, আপনারা দেশের সব খবর রাখেন। সব কিছু দ্যাখেন, আপনারা নিজেদের বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, নির্বাচনে এখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কি না? তাহলে উত্তর পেয়ে যাবেন।’
‘সারা দেশ থেকে বিরোধী দলের প্রচারে বাধা দেয়ার না অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন কী সম্ভভ?’, জানতে চান এক সাংবাদিক।

এর জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমি আশাবাদী মানুষ। এখনও যে সময়টুকু আছে তাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ইলেকটোরাল এনকোয়ারি কমিটির বিচারকদের আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করা উচিত। আমি মনে করি সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জকভাবে পাল্টে যাবে।’
সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হবে বলে সিইসির বক্তব্য উল্লেখ করে আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আপনিও কী তাই মনে করেন?’

উত্তরে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সব দল অংশগ্রহণ করলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া একটি প্রাথমিক প্রাপ্তি। আসল কথা হচ্ছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি না এবং বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে কি না। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে অংগ্রহণমূলক হলেও কোনো লাখ নেই।’
এবারের নির্বাচনে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে? জানতে চাইলে জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন আমরা সরাসরি করি না। রিটার্নিং কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে। তাদের বাহিনীর সদস্যরা কতটা তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে তা তারা বলতে পারবেন।’

বর্তমান পরিস্থিতিতে তার কোনো বার্তা দেওয়ার আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্য হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রার্থী, ভোটার এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ আইনের বাইরে যাবেন না। আইনকে নিজস্ব ধারায় চলতে দিন। নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলুন। নির্বাচনকে সাফল্য মণ্ডিত করতে সহায়তা করুন।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares