আবু সুফিয়ানকে আহ্বায়ক করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৬১বিশিশ্ঠ কমিটি ঘোষনা।


rafiq প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৩, ২০১৯, ০৯:৪৬ / ২৯১
আবু সুফিয়ানকে আহ্বায়ক করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৬১বিশিশ্ঠ কমিটি ঘোষনা।

রফিক চৌধুরী বিডি সংবাদ একাত্তর আবু সুফিয়ানকে আহ্বায়ক করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৬১সদস্য  কমিটি ঘোষনা।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিগত সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ানকে।চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী  বলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৬১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

এ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণi সম্পাদক আলী আব্বাস ও সদস্য সচিব করা হয়েছে বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ খানকে।

৮ বছর পর আগের কমিটি ভেঙে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন এ কমিটি দেয়া হলো। নতুন এ কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আশা করা যাচ্চে  নতুন আহ্বায়ক জনাব  আবু সুফিয়ান  দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক ঐতিহ্য ও শক্তি পুনরুদ্ধার সক্ষম  হবেন । এবং সে সাথে নির্যাতিত নিপীড়িত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে তাদের মনে আশার সঞ্চার করা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১০ সালের ২০ মার্চ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনের পর সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি ও অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু তখন দক্ষিণ জেলার বিএনপির একটি অংশ এ কমিটি মেনে নিতে পারেনি। পরে পাল্টা কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আহমদ খলিল খানকে সভাপতি এবং ইফতেখার মহসিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ফলে কমিটি-পাল্টা কমিটির কারণে দলীয় নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন।

এ অবস্থায় ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিধাবিভক্ত দক্ষিণ জেলা বিএনপিকে একত্রিত করতে উদ্যোগ নেয় দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। ১৫১ সদস্যের পুর্নগঠিত কমিটিতে জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি বহাল রাখা হলেও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ এর স্থলে পটিয়ার সাবেক এমপি গাজী শাহাজাহান জুয়েলকে নতুন সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন আহমদকে পুনর্গঠিত কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি করা হয়।

দক্ষিণ জেলা বিএনপি ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেছিলেন। এর আগেই দলকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিজেদের মধ্যে সমাঝোতা না হওয়ায় ভেস্তে যায় সেই উদ্যোগ। এর আগে ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট কমিটি পুনর্গঠনের জন্য দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিএনপি’র তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নির্দেশ দেন দল পুনর্গঠনের। দক্ষিণ জেলা বিএনপিকে দলকে কীভাবে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করা যায় এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনে গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন।

দলীয় সূত্র আরো জানায়, নতুন কমিটির আহ্বায়ক যিনি হবেন তিনি পরবর্তী সম্মেলনে প্রার্থী হতে পারবেন না এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাই সম্মেলনের মাধ্যমে যারা নেতৃত্বে আসতে চান তারা আহ্বায়ক হতে অনাগ্রহী। আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ তিন মাস হলেও তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে গুরুদায়িত্ব। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলার নতুন কমিটি গঠন করে জেলার সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে এতগুলো কমিটি গঠন অনেকটা দুঃসাধ্য ব্যাপার বলেও মনে করছেন অনেকে।

এদিকে গণতান্ত্রিক পন্থায় নেতৃত্ব নির্বাচনের এই উদ্যোগকে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা স্বাগতম জানিয়েছেন। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলায় কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবেন বলে আশা করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

এদিকে সম্মেলনে লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী এই ৮ উপজেলা এবং পাঁচ পৌরসভার কাউন্সিলে উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ভোটার হবেন।

দলের গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী ১৫১ জনের সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। এবার এতে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গঠনতন্ত্র কোনোভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares