আগামীকাল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


rafiq প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১০, ২০১৮, ২১:০০ / ২৩৯
আগামীকাল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজেস্বসংবাদদাতা ঢাকা
১০/১২/২০১৮
আগামীকাল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারতের পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। নানক বলেন, তফসিল ঘোষণার পর আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা শুরু করবেন। প্রথমে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ায় একটি জনসভায় বক্তৃতা করবেন। এই বক্তৃতা শেষ করে আবারও দুপুরেই কোটালীপাড়ায় এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার মধ্য দিয়েই নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করবেন। নানক বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাতকারী, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দেবে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন শিবিরের কয়েকজন নেতা আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। যা থেকে বোঝা যায়, বিএনপি এবং জামায়াত নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো কোনও অর্জন তাদের নেই। তথাকথিত ঐক্যফ্রন্টের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন ড. কামাল হোসেন সাহেবরা উল্লেখ করে নানক বলেন, এসব ব্যক্তি স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন, দুর্নীতিবাজ সংগঠন, আগুন সন্ত্রাস, এতিমের টাকা আত্মসাতকারী, বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী ও চার নেতার খুনিদের পক্ষ অবলম্বন করছে। ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাদের ভাঁওতাবাজির মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে বর্ণচোরা রাজনীতিবিদরা জনগণের রায়ে প্রত্যাখ্যাত হবে। নির্বাচনি ইশতেহার প্রসঙ্গে নানক বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পর প্রকাশ করা হবে।
এদিকে গোপালগঞ্জের প্রস্তুতি সম্পর্কে গোপালগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টার জানান: প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ কাজী নিশাত রসুল স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের কাছে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে এক ফ্যাক্স বার্তায় পাঠান। ফ্যাক্স বার্তায় জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সড়ক পথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন। দুপুর ১২টায় তিনি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছাবেন। দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তক অর্পণ, ফাতেহাপাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন।
দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শেখ হাসিনা নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা সদরের শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন। ওইদিন রাতে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে কোটালীপাড়ায় উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ জনসভাকে সফল করতে প্রশাসন, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন। গতকাল সোমবার প্রতিক বরাদ্দের পর নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারনা শুরু হয়েছে। প্রচার প্রচারনায় কোটালীপাড়ায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বর্নিল সাজে কোটালীপাড়াকে সর্জিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এসএসএফ এর উপস্থিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এসএসএফ এর কর্নেল শামীম গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares