অসংখ্য ভূয়া নাম/পরিচয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতায় এই প্রতারক


rafiq প্রকাশের সময় : মে ১৮, ২০১৯, ১২:২৫ / ৩১১
অসংখ্য ভূয়া নাম/পরিচয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতায় এই প্রতারক

ক্রাইম রিপোর্টার;
তার নাম মুতাসসিম বিল্লাহ, রুবেল, ওরফে তাকসিন, ওরফে এহসান, আরো কতই নাম তার গ্রামের বাড়ী জামালপুর জেলার বকসিগঞ্জ থানা এলাকায়। কয়েক বছর আগে ঢাকায় আসে চাকুরির খোজে কিন্তু চাকুরি না করে বেছে নেয় প্রতারনার পথ। মানুষকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম প্রতারণার ফাঁদে ফেলার সব কলা কৌশল রপ্ত করেন এই প্রতারক। বিভিন্ন স্থানে নিজেকে আয়কর বিভাগ কর অঞ্চল ১২ এর কর্মকতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে এবং তার মামা দুদকের বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মামার নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময়ে মানুষকে প্রতারণা করে আসছ। অসংখ্য লোককে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে অর্থ আদায় সহ মানুষ কে চাকুরি দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।
ভুৃক্তভোগিরা টাকা চাইতে গেলে হুমকি ধামকি সহ দুদকের ভেড়াজালে আটকিয়ে সায়েস্থা করার হুমকি দেয় এই প্রতারক।

এখানেই শেষ নয় নিজের চেহারা সুন্দর হওয়ার কারনে অনেক মেয়েদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার পাশাপাশি কৌশলে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ায় খেলাটাও তার নেশা। বিভিন্ন সূত্রে অনুসন্ধান চালিয়ে এমন অসংখ্য অপরাধের অভিযোগ মিলেছে তার বিরুদ্ধে।
সকালের সংবাদের অনুসন্ধানী টিম তার সর্ম্পকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিতে গিয়ে যানা গেছে ৮ বছর আগে সে ঢাকাতে আসে লেখাপড়া শেষ করে একটা ভাল চাকুরি নেবে সে জন্য ভর্তি হয় তিতুমির কলেজে কিন্তু তার এফবি প্রোফাইলে দেখা যায় সে নাকি কবি নজরুলের ছাত্র আসলে সে কোন কলেজের ছাত্র তা জানা সম্ভব হয়নি। এর পর সে কম্পিউটার শেখার জন্য ভর্তি হয় রামপুরাস্থ জ্যোতি কর্মাশিয়াল সেন্টারে এখানে কিছুদিন কম্পিউটার শেখার পর নিজেই শেখানোর শিক্ষক বনে যান। আর এখানেই কম্পিউটার সেন্টারেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে কম্পিউটার শিখতে আশা মেয়েদের নিজের সুন্দর চেহারা আর স্মার্ট কথোপকথনে ভুলিয়ে প্রেমের জালে জড়িয়ে প্রতারনা শুরু করে। এভবে সে অনেক মেয়েদেরে সাথে প্রতারণা করেছে এবং তার থেকে প্রতারিত সকল মেয়েদের সাথে অন্তঙ্গ মূহুর্তের ছবি তোলে তাদেরকে পরে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে মোটা অংকের অর্থ। মেয়েরা এর প্রতিবাদ করলে ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে। আরও জানাযায় যে, সে তার এক আত্বীয়ার মাধ্যমে কর অঞ্চল ১২ এর সহকারীর কাজ শুরু করে আর এখানথেকেই সে মূলত যারা আয়কর দেয়না তাদের খোঁজে বের করে তাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় সেই আত্বীয়ার মাধ্যমে।
বিভিন্ন সময়ে রকমারি পরিচয়ের মাধ্যমে মানুষ ঠকানো ও মেয়েদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সর্বনাশ করা প্রতারণার আতংকে আতংকিত অনেক মেয়ে। এমন প্রতারিত বেশ কয়েকজন প্রতারিত থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও জানা গেছে।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares