অপ্রতুল বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে প্রত্যাশিত সেবা সম্ভব নয়।


rafiq প্রকাশের সময় : জুন ২০, ২০১৯, ০৪:৩৩ / ১৩৭
অপ্রতুল বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে প্রত্যাশিত সেবা সম্ভব নয়।

স্বাটাফ রিপোর্টা টে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। এ বরাদ্দ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে স্বাস্থ্যখাতে প্রত্যাশিত জনসেবা সম্ভব নয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০ ঃ স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক ও পরিবেশবাদিরা এসব কথা বলেন। গতকাল ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন-এর যৌথ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, দেশের জনগনের চিকিৎসার জন্য বাজেটে ২৫,৭৩২ কোটি টাকা মোটেও যথেষ্ট নয়। স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ মোট জাতীয় বাজেটের ৪দশমিক ৯২ শতাংশ এবং জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ। সেই হিসেবে এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জন প্রতি বরাদ্দের পরিমান মাত্র ১৪২৭.৭৭ টাকা। এতে চিকিৎসাখাতে উন্নয়ন অসম্ভব। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সংস্কার করা ছাড়া সুষ্ঠু চিকিৎসা আশা করা সম্ভব না। বরং এ ধরণের বাজেট বরাদ্দে জনগণ এবং ডাক্তারদের মধ্যে উত্তেজনা ও গন্ডগোল অরোও বৃদ্ধি পাবে।

বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন এর সঞ্চালনায় এতে মূল বক্তব্য পাঠ করেন ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ও জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন এর আহবায়ক অধ্যাপক রশিদ-ই মাহবুব, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নাজমুন নাহার, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট-এর সভাপতি অধ্যাপক এম আবু সাঈদ, জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ডা. ফয়জুল হাকিম লালা, ডা. হাসিনা মমতাজ. মিহির বিশ্বাস প্রমুখ।

অধ্যাপক রশিদ-ই মাহবুব বলেন, সরকার যে বাজেট স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দিয়েছে তা দিয়ে জনগন এবং ডাক্তারদের মধ্যে উত্তেজনা ও গন্ডগোল অরোও বৃদ্ধি পাবে। কারণ সীমিত বাজেটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানের বেতন দেওয়ার পর ঔষধসহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো কোন ভাবেই সম্ভব না। বর্তমান বাজেটও বরাবরের মত উচ্চবৃত্ত ও উচ্চ মধ্যবৃত্তদের জন্যই সহায়ক।

অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনার জন্যই উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার নিয়োগসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সরঞ্জাম বা স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া যায় না। অযোগ্যলোককে যোগ্য যায়গায় দিয়ে স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। ঔষধ প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারনে ভেজাল ও মেয়াদউর্ত্তীর্ণ ঔষধে আজ বাজার সয়লাব। প্রনোদনার মাধ্যমে ডাক্তারদের উপজেলা পর্যায়ে থাকার সুব্যবস্থা করতে হবে। ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ মোট জাতীয় বাজেটের ৪.৯২% এবং জিডিপির ০.৮৯%। সেই হিসেবে এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জন প্রতি বরাদ্দের পরিমাণ ১৪২৭.৭৭ টাকা।

ব্রেকিং নিউজ :
Shares